রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


পুলিশের উপর পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের হামলা


প্রকাশিত:
৭ জানুয়ারী ২০২২ ০৭:৪০

আপডেট:
৭ জানুয়ারী ২০২২ ০৭:৪২

ছবি: প্রতিনিধি

নির্বাচনে হেরে বিজয়ী প্রার্থীর বাড়িতে হামলার সময় বাধা দেয়ায় পুলিশের উপর হামলা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারী) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের হোসেনডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। হামলায় অন্তত ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৫ জানুয়ারী) ভোটে ঝিলিম ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে টিউবওয়েল প্রতীকে ৫৫৯ ভোট পেয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন শরিয়ত আলী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান ইউপি সদস্য মোরগ প্রতীকের মনিরুল ইসলাম মনি ৫৪৫ ভোট পেয়েছেন।

এছাড়াও তালা প্রতীকে আব্দুল কুদ্দুস সেরাতাল ৫১৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। এছাড়াও আনারুল ইসলাম আপেল প্রতীকে ৩০০ ভোট, আনু বাক্কার ফুটবল প্রতীকে ২৪০ ভোট ও সাদিকুল ইসলাম ফ্যান প্রতীকে পেয়েছেন ৪১ ভোট।

নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী মনিরুল ইসলাম মনি ও আব্দুল কুদ্দুস সেরাতাল এবং তাদের লোকজন বিজয়ী প্রার্থীর বাড়িতে হামলা করার পরিকল্পনা করে। শতাধিক লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে বিজয়ী প্রার্থী শরিয়তের বাড়ির দিকে এগিয়ে আসে। শরিয়তের বাড়িতে যাবার আগেই হোসেনডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গেলে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে হামলা করে তারা।

এ বিষয়ে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য শরীয়ত আলী জানান, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আমার বাড়িতে হামলার পরিস্থিতি জানতে পেরে জরুরি সহায়তা সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ উপস্থিত হয়। এ সময় তারা পুলিশের উপর হামলা করে। পুলিশের একটি মোটরসাইকেল ভেঙে ফেলেছে তারা। এমনকি এ ঘটনায় নিজের জীবনের নিরাপত্তা হুমকিতে রয়েছে বলে জানান তিনি।

পুলিশের উপর হামলায় অন্তত ৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. সায়েদা সুলতানা মুঠোফোনে জানান, তিন জন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা খুবই গুরুতর হওয়ায় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা দেয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান মুঠোফোনে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ। বাকি হামলাকারীদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।

 

 

আরপি/এসআর-১১



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top