রাজশাহী বুধবার, ৬ই নভেম্বর ২০২৪, ২৩শে কার্তিক ১৪৩১


মানবশূন্য বাড়িতে ১১ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল!


প্রকাশিত:
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:১৪

আপডেট:
৬ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৪১

ছবি: সংগৃহীত

অনব কুমার সরকার বাবা শ্রী অধীর কুমার সরকারের নামীয় মিটারের সেপ্টেম্বর মাসের একটি বিদ্যুৎ বিল হাতে পান। ১৩ সেপ্টেম্বর হাতে পাওয়া বিলে চোখ রাখতেই তিনি চমকে ওঠেন। বিলের কাগজে ব্যবহৃত ইউনিট দেখানো হয়েছে ৯০ হাজার ১৫০ ইউনিট বিদ্যুৎ, এতে বিল এসেছে ১০ লাখ ৮২ হাজার ৬১ টাকা।

পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বিল প্রস্তুতকারক আসমা ও এজিএম অর্থ এর স্বাক্ষর সম্বলিত এমন ভুতুরে বিল নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সমিতির অধীনস্থ পাবনার চাটমোহর পৌর জিরো পয়েন্ট এলাকার শ্রী অধীর কুমার সরকারের বাড়িতে কেউ থাকেনও না। ফলে বিলটি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

মিটার মালিকের পরিবার জানায়, পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় থাকেন। ফলে বাড়িটি প্রায় মানবশূন্য, দুই-একজন দেখাশোনার জন্য থাকেন। এরকম ভৌতিক বিল পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ-১ সমিতির অফিসে নতুন কোনো বিষয় না। কারও নজরদারি না থাকায় এসব ঘটনা ঘটলেও পবিস-১ প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করে। জোর করেই দোষ চাপানো হয় গ্রাহকের ঘাড়ে।

শুধু এই বিলই নয়, স্থানীয় ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছেন, এই অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, অদক্ষ অপারেটর দ্বারা বিদ্যুৎ বিল তৈরির ফলে বিদ্যুৎ বিলের কপিতে নাম, পিতার নাম, মোবাইল নং ভুলে ভরা। তারা মিটার রিডিং না করে অফিসে বসেই বিদ্যুৎ বিল তৈরি করেন। এজিএম অর্থর এই বিল ক্রসচেক করার স্বাক্ষর থাকলেও তিনি কিছুই করেন না। এছাড়া মিটারে কম বিদ্যুৎ ব্যাবহার দেখিয়ে বছর শেষে হাতিয়ে নেয় অতিরিক্ত টাকা। ফলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় তিন লাখ গ্রাহক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন নানা সময়।

এসব বিষয় নিয়ে ভূক্তোভগীসহ এলাকাবাসী চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অদক্ষ লোকবল আর কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান সমিতির সদস্যরা।

ঘটনার বিষয়ে বিল প্রস্তুতকারী আসমা খাতুন ভুল স্বীকার করে জানান, মানুষই ভুল করে। কাজ করতে গেলে একটু ভুল হতেই পারে। এ বিষয়ে নিউজ না প্রকাশের জন্যও অনুরোধ করেন তিনি।

এ বিষয়ে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার আকমল হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি জানার পরেই বিল প্রস্তুতকারক ওই মেয়েটিকে শোকজ করেছি। যে গ্রাহকের বিলে এমন হয়েছে সেই গ্রাহকের নিকট আমি অফিসার পাঠিয়েছিলাম, বিল সংশোধন করে দিবো বলে। কিন্তু তারা এই বিষয়ে রং লাগিয়ে বড় কিছু করতে চাইছে। মানুষের তো ভুল হতেই পারে।

 

 

আরপি/এসআর-০৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top