রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সরকার অলস বসে থাকেনি: প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত:
১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:০২

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৩৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা সংকট পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সরকার অলস বসে থাকেনি। শিক্ষার্থীদের জন্য টেলিভিশন ও অনলাইনে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে পড়াশোনায় যুক্ত থাকে সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রথমবারের মতো পালিত ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে টু প্রটেক্ট এডুকেশন ফ্রম অ্যাটাক’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রচারিত আগে ধারণ করা ভিডিওবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ সংকট আমাদের বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতা দেখিয়েছে। বর্তমান সংকট শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সম্মিলিত বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, আসুন প্রতিটি পরিস্থিতিতে শিক্ষা নিশ্চিতে আরও বেশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিশ্চিতভাবে আমাদের ভবিষ্যৎ চাওয়ার দিকে নিয়ে যাবে।

করোনায় শিক্ষা সেক্টরে ভয়াবহ ক্ষতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলমান কোভিড-১৯ মহামারিতে শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরটিও গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এই সংকটের কারণে সারা বিশ্বের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ।

আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, দেশের উন্নয়নে শিক্ষাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিতেন। জাতির পিতার দর্শনকে অনুসরণ করে সরকার শিক্ষায় বেশি বিনিয়োগ করে আসছে।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা, শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিশু ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুসহ প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

শুধু ২০২০ সালের পহেলা জানুয়ারি ৩৫৩ মিলিয়ন পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ এবং ২০১০ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ২০ দশমিক ৩ মিলিয়ন শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ছাত্রীদের বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ নিশ্চিত করার কথা তুলে ধরেন তিনি।

এসব ব্যবস্থার পাশাপাশি লিঙ্গ-সংবেদনশীল পন্থা, স্কুল ফিডিং কর্মসূচি, প্রায় প্রতিটি গ্রাম ও ওয়ার্ডে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন, আইসিটি শিক্ষার মতো বিভিন্ন উদ্যোগ শিক্ষা সম্প্রসারণে ত্রিমাত্রিক সুবিধা ও ফলাফল এনে দিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি।

ভার্চ্যুয়াল এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ভিডিওবার্তা দেন ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট লুইস অ্যাবিনডার, জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তেনিও গুতেরেস (অহঃড়হরড় এঁঃবৎৎবং), জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেট জারিয়া, গ্রাকা মাচেল ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা এবং জাতিসংঘের এসডিজি বিষয়ক অ্যাডভোকেট গ্রাকা মাচেল, গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এলিস অলব্রাইট, জাতিসংঘের এসডিজি বিষয়ক অ্যাডভোকেট এডওয়ার্ড এনডোপু।

ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে বক্তব্য রাখেন নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী ও তাওয়াককোল আবদেল-সালাম খালিদ কারমান এবং বেয়ারফুট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শাকিরা।

 

আরপি/আআ-১৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top