এবার ফেঁসে গেলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই তাহেরী
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জিকিরের সময় নেচে-গেয়ে ‘বসেন বসেন, বইসা যান’ বলায় সমালোচিত হন তাহেরী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে তৈরি হয়ে নানা ট্রল ও ভিডিও। এরপর কিছুদিন ওয়াজ বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। সম্প্রতি ফের আলোচনায় এলেন এই বক্তা।
আজ (রোববার) ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত সৃষ্টির অভিযোগে দাওয়াতে ঈমানি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুফতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য মো. ইব্রাহিম খলিল।
মামলার বাদী ইব্রাহিম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাহেরীর বিরুদ্ধে পিটিশন মামলার আবেদন জমা দিয়েছি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা গ্রহণের বিষয়ে শুনানি চলেছে বলে জানা গেছে।
মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, ইসলাম ধর্মে ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে নাচ-গান সমর্থন করে না। কিন্তু গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরী তার মাহফিলে এমনটাই করছেন।
তাহেরী ওয়াজ-মাহফিলের নামে অশ্লীলতা ছড়াচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন ইব্রাহীম খলিল।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ভাইরাল তার ‘বসেন বসেন বইসা যান, ঢেলে দেই’ এসব বাক্য ওয়াজে ব্যবহার করে তিনি ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ করেছেন। জিকিরের সময় এ রকম শব্দ উচ্চারণ ইসলামের কোথাও উল্লেখ নেই।
ইসলামের রীতিনীতি অনুযায়ী তাহেরীর এসব কর্মকাণ্ড মুনাফেকির শামিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তাহেরি কোরআন ও হাদিস অবমাননা করেছেন বলেও দাবি করেন মামলার বাদী ইব্রাহীম।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, এক মাহফিলে কোনো ব্যক্তির উক্তি দিয়ে বিড়ি খাওয়ার একটি দোয়া শ্রোতের শোনান তাহেরি। যা ইসলামের কোথাও নেই। তার এসব বক্তব্যে ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ ও অবমাননা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাহেরীর এসব কর্মকাণ্ড ইসলামে বিদ’আত বলে গণ্য। তিনি ইসলাম ধর্মের প্রচারকারী নন, অপপ্রচারকারী।
তাকে এখনই না থামালে মানুষ ধর্ম বিষয়ে ভুল অনুধাবন করবে জানিয়ে ইব্রাহীম বলেন, এজন্যই তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলা করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।
প্রসঙ্গত দাওয়াতে ঈমানি বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুফতী মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম নেয়া মুফতি মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী সুফিধারার আলেম হিসেবে পরিচিত।
আরপি/ এএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: