রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


হাসপাতালে ভর্তি করাতে ১৪ ঘণ্টা রোগী নিয়ে ঘুরলো পুলিশ


প্রকাশিত:
৮ জুন ২০২০ ১৬:৪৪

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:২৮

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ১৪ ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়েও এক রোগীকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারল না পুলিশ।

রাস্তায় অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকা এক বৃদ্ধকে উদ্ধার করে শনিবার রাত দেড়টা থেকে কলকাতার ইকবালপুর থানার পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সে করে রোববার বিকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার চেষ্টা করে।

কিন্তু কোথাও জায়গা হয়নি ৬৫ বছরের ওই বৃদ্ধের। অবশেষে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় পুলিশ বাধ্য হয়ে তাকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

সাধারণ মানুষের প্রশ্ন– রোগী ভর্তি করার ক্ষেত্রে পুলিশের কথাও যদি গুরুত্ব না পায়, তা হলে আমরা যাব কোথায়?

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই বৃদ্ধ জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে প্রথমে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

কিন্তু সেখান থেকে পুলিশকে জানানো হয়, কোভিড হাসপাতাল হওয়ায় পরীক্ষা ছাড়া অন্য রোগীকে ভর্তি নেয়া হচ্ছে না। এর পর পুলিশ ওই বৃদ্ধকে নিয়ে যায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

কিন্তু সেখানেও তাকে ভর্তি করানো যায়নি। এর পরে নীলরতন সরকার, কলকাতা মেডিকেল কলেজ এবং আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলেও ওই বৃদ্ধকে ভর্তি করানো যায়নি বলে জানান পুলিশের এক কর্মকর্তা। শেষে রোববার বিকালে ইকবালপুরের একটি নার্সিংহোমে তাকে ভর্তি করে পুলিশ।

গত মে মাসে পর্ণশ্রী থানার এলাকার বাসিন্দা এক নারীও হাসপাতালে ভর্তি না হতে পেরে মারা যান। উদ্ধার করার পর অসুস্থ ওই নারীকে নিয়েও একাধিক সরকারি হাসপাতালে ছুটেছিল পুলিশ।

কিন্তু কোথাও তাকে ভর্তি নেয়া হয়নি বলেই অভিযোগ রয়েছে। শেষ পর্যন্ত বলতে গেলে বিনা চিকিৎসায়ই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনা প্রসঙ্গে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, ওই রোগীর বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। তবে হাসপাতালটি এখন পুরোটাই কোভিড হাসপাতাল।

তাই এখানে করোনা পজিটিভ বা সারি (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস) রোগীরাই ভর্তি হন। অনেকে সাধারণ জ্বর নিয়েও আসছেন। তাদের বহির্বিভাগে চিকিৎসা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপারকে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনা নিয়ে এসএমএস করা হলেও তারা কোনো উত্তর দেননি।

 

আরপি/এমএএইচ-০২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top