রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১


পঙ্গপাল মারতে ১০০০ ‘জলকামান’!


প্রকাশিত:
২৯ মে ২০২০ ১৫:৩০

আপডেট:
২৯ মে ২০২০ ১৫:৩৩

ছবি: সংগৃহীত

পঙ্গপাল মারতে এবার জলকামান ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। তার জন্য ৮৯টি দমকলের ইঞ্জিনের মাধ্যমে স্প্রে-সহ বিপুল পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে দেশটির কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষিকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে।

দমকলের মাধ্যমে কীটনাশক স্প্রে করা হবে। অন্যদিকে পশ্চিম ও মধ্য ভারতের পাঁচ রাজ্যে পঙ্গপাল থাকলেও সংলগ্ন একাধিক রাজ্যে সম্ভাব্য হামলার সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।গত কয়েকদিন ধরেই পশ্চিম ও মধ্য ভারতের পাঁচ রাজ্য-রাজস্থান, পাঞ্জাব, গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কোটি কোটি মরুপতঙ্গের ঝাঁক।

কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে এই পতঙ্গবাহিনীর দখলে রয়েছে রাজস্থানের ২০টি, মধ্যপ্রদেশের ৯টি, গুজরাটের দু’টি এবং পাঞ্জাবের একটি জেলা। মহারাষ্ট্রের নাগপুরে বিপুল পরিমাণে কমলালেবুর ক্ষতি হয়েছে বলে সে রাজ্যের কৃষি দফতর জানিয়েছে।

এবার সেই পঙ্গপালের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করে ময়দানে নামছে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয়। বুধবার মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, দমকলের ৮৯টি ইঞ্জিন থেকে কীটনাশক স্প্রে করার পাশাপাশি একাধিক বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

১২০টি সার্ভে যান মোতায়েন করা হয়েছে। এই গাড়িগুলি পঙ্গপালের গতিবিধির উপর নজরদারি চালাবে এবং সম্ভাব্য গতিপথ সম্পর্কে অনুসন্ধান চালাবে। তার পর সেই অনুযায়ী সতর্কবার্তা দেওয়া হবে। দমকলের গাড়ি ছাড়াও সাধারণ ৪৭টি গাড়ি থেকেও কীটনাশক স্প্রে করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

এছাড়া একই ভাবে কীটনাশক স্প্রে করার জন্য আরও ৮১০টি ট্রাক্টরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে স্প্রে করা যানের সংখ্যাই প্রায় ১ হাজার। প্রয়োজন অনুযায়ী সেই সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

কিন্তু কীটনাশক স্প্রে করার অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর হয়নি মহারাষ্ট্রে। বরং পতঙ্গবিভ্রাট আরও বেড়েছে মহারাষ্ট্রে। সে রাজ্যে কীটনাশক স্প্রে করতেই দু’টি দলে ভাগ হয়ে গিয়েছে পঙ্গপাল। একটি দল নাগপুরের পারসিওনির দিকে চলে গিয়েছে।

অন্য দলটি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভান্ডারা এলাকায়। ফলে তাদের কাবু করা আরও মুশকিল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সে রাজ্যের কৃষি কর্মকর্তারা।রাজ্যের কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে পঙ্গপাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে বিদর্ভ অঞ্চলের ১১টি জেলায় এবং উত্তর মহারাষ্ট্র অঞ্চলের চারটি জেলায়।

কেন্দ্রীয় কৃষি দফতরের মতে, সাধারণত দিনের বেলা দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয় পঙ্গপালরা। যাত্রাপথে উজাড় করে মাঠের ফসল। কিন্তু রাতে বিশ্রাম নেয় এই পতঙ্গের দল। তাই রাতে বিশ্রামের সময় স্প্রে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও কেন্দ্রের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।

এর বাইরেও ছত্তীসগড়, উত্তরপ্রদেশেও সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ওড়িশায় বুধবারই একটি নির্দেশিকা জারি করে কৃষকদের কী করণীয়, তা জানিয়েছে নবীন পট্টনায়ক প্রশাসন।

 

 

আরপি / এমবি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top