রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ১৬ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


ভারতে অবৈধ

অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ডিটেনশন সেন্টার


প্রকাশিত:
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:৩৬

আপডেট:
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:৫২

 ডিটেনশন সেন্টার(বন্দিশালা)

ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ডিটেনশন সেন্টার (বন্দিশালা) তৈরি করতে জমি চেয়ে মুম্বাই প্ল্যানিং অথরিটিকে চিঠি লিখেছে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতর।

আসামে ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। গোয়ালপাড়া জেলায় ৩ হাজার লোকের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ১০টি ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করছে রাজ্য সরকার, তার জন্য খরচ পড়বে ৪৬ কোটি রুপি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি একথা জানা যায়।

আসামের পর ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবসতির রাজ্য মহারাষ্ট্রেও অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করার সম্ভাবনা রয়েছে।

মহারাষ্ট্রের নগর ও শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, নেরুল এলাকায় দুই থেকে তিন একর জমি চেয়ে পাঠানো একটা চিঠি কর্পোরেশন পেয়েছে। জনবসতি ও বাণিজ্যিক এ এলাকাটি মুম্বাই শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে। তবে দফতরের তরফ থেকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, ভারতের যে সমস্ত এলাকায় ‘অনুপ্রবেশকারী’ বেশি বাস করছে সেখানে ডিটেনশন সেন্টার (বন্দিশালা) তৈরির কথা বলা হয়।

পরিপ্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্রেও ডিটেশন সেন্টার তৈরির তোড়জোড়ই দেখা যাচ্ছে বলে জানাচ্ছে সংবাদমাধ্যম।

ক্ষমতাসীন বিজেপি জোটের অংশীদার শিবসেনা মুম্বাইয়ে ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের বসবাস’ এবং কাজ করার অভিযোগ তুলে আসছে।

গত সপ্তাহে সংবাদসংস্থা এএনআইকে শিবসেনা নেতা অরবিন্দ সাওয়ান্ত বলেন, এলাকার প্রকৃত নাগরিকদের সমস্যার সমাধানে আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরির প্রয়োজন ছিল। সেই কারণে আমরা এনআরসির পদক্ষেপকে সমর্থন জানাই। আমরা এখান থেকে বাংলাদেশিদের তাড়াতে মুম্বাইয়েও একই পদক্ষেপ চাই।

চলতি বছরের শুরুর দিকে রাজস্থানে লোকসভা নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি নেতা ও বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তার দেশে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ রয়েছে দাবি করেন এবং তাদের ‘উইপোকা’ বলে মন্তব্য করেন।

জুলাইয়ে রাজ্যসভায় অমিত শাহ বলেন, দেশের (ভারত) মাটির প্রতিটি ইঞ্চিতে থাকা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে চায় সরকার।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) উত্তর-পূর্ব কাউন্সিল বৈঠকেও তিনি বলেন, একজন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকেও থাকতে দেওয়া হবে না। প্রত্যেকটি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে তাড়ানো হবে।

 

 

 

আরপি/এমএইচ

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top