রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


করোনার প্রকোপে ব্রাজিলে কফিন সংকট, মর্গে বিশৃঙ্খলা


প্রকাশিত:
২ মে ২০২০ ১৯:২৩

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ০৮:৩৫

 

করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছে ব্রাজিলের প্রত্যন্ত এলাকা মানাউসে। শহরটিতে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছেন শত শত মানুষ। ফলে শেষকৃত্য করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। ইতোমধ্যেই সেখানে কফিনের সংকট দেখা দিয়েছে, মরদেহের পাহাড় জমেছে মর্গগুলোতে।

অ্যামাজন বনে ঘেরা মানাউসে অন্তত ২০ লাখ মানুষের বসবাস। প্রত্যন্ত এ এলাকার সঙ্গে দেশের বাকি এলাকাগুলোর সরাসরি সড়ক যোগাযোগও নেই। একারণে সেখানে সংকট কাটাতে আকাশপথে দ্রুত কফিন পাঠাতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে ন্যাশনাল ফিউনারেল হোম অ্যাসোসিয়েশন।

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটির অ্যামাজোনাস অঙ্গরাজ্যে ৫ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ৪২৫ জন। তবে সেখানে পর্যাপ্ত পরীক্ষার অভাবে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা জানা যাচ্ছে না বলে উদ্বেগ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

মানাউসের মেয়র জানিয়েছেন, মহামারি শুরুর আগে শহরটিতে রোজ ২০ থেকে ৩৫ জন মারা যেত। এখন সেখানে প্রতিদিন অন্তত ১৩০ জনের প্রাণহানি হচ্ছে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় এক কবরে একাধিক মরদেহ দাফন করা হচ্ছে। তবে এ ব্যবস্থা পছন্দ না হওয়ায় স্বজনের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলছেন অনেকেই।
ব্রাজিলিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ফিউনারেল সার্ভিস প্রোভাইডারসের সভাপতি ল্যুরিভাল পানহোজ্জি জানান, মানাউস থেকেই মূলত অ্যামাজনে বসবাসকারী সম্প্রদায়ের লোকজন মেডিকেল সেবা নিয়ে থাকেন।
সংক্রমণ শুরুর পরে এ অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষই সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা মানেননি। ফলে হু হু করে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা।
লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত ব্রাজিল। তবে গত মাসে এর প্রতিবেশী দেশ ইকুয়েডরেও অনেকটা একই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। দেশটির গুয়াইয়াকুইল শহরে করোনায় মৃত্যু এত বেড়ে গিয়েছিল যে, মর্গে মরদেহ না ধরায় সেগুলো রাস্তায় জমা করতে হয়েছিল।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, ব্রাজিলে এ পর্যন্ত ৯২ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৬ হাজার ৪১২ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৮ হাজার ৩৯ জন।

সূত্র: আল জাজিরা

আরপি/ এআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top