বিয়ের জন্য ৮৫০ কি. মি পাড়ি দিয়ে পুলিশের হাতে ধরা, অতঃপর...
![প্রতীকি ছবি](https://rajshahipost.com/uploads/shares/যুবক-2020-04-19-21-13-55.jpg)
সোনু কুমার চৌহান। ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের লুধিয়ানা থেকে তিন বন্ধুকে নিয়ে সাইকেলে করে বাড়ির পথে রওয়ানা হয়েছিলেন। উদ্দেশে বিয়ে। তিনি যখন বিশাল এক পথ সাইকেলে পাড়ি দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেন তখনও জানতেন না, তার কপালে কি আছে। বিয়ের জন্য সাইকেলে করে বাড়ি ফিরতে চাওয়া ওই তরুণ এখন ঘরবন্দী।
সোনু কুমার চৌহানের বাড়ি নেপাল সীমান্তবর্তী এক জেলায়। বাড়ি পৌঁছাতে যখন আর মাত্র ১৫০ কিমি বাকি তখনই পড়লেন বিপদে। করোনা মোকাবিলায় ভারতজুড়ে লকডাউন চলছে। তাই সোনু ও তার তিন বন্ধুকে সীমান্তরক্ষী বাহিনী যাত্রাপথে আটকে দিলেন। করলেন জিজ্ঞাসাবাদ। তারপর তাদের সবাইকে পাঠিয়ে দিলেন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে।
প্রাঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে সোনু কুমার চৌহানের বাড়ির দূরত্ব হাজার কিলোমিটারের। লকডাউনের মধ্যেও টানা ৭ দিন সাইকেল চালিয়ে ইতোমধ্যে বন্ধুদের নিয়ে ৮৫০ কিমি পথ পাড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার বিয়ের সেই সুযোগ আর হলো না। এখন ভারতের লকডাউন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তাকে থাকতে হবে ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে।
পেশায় পাঞ্চাবের লুধিয়ানার একটি টাইলস কারখানার কর্মী সোনু কুমার চৌহান। সেখান থেকে হাজার মাইল দূরে উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলার পিপড়া রসুলপুরের বাসিন্দা তিনি। বাড়ি থেকে তিনি যখন মাত্র দেড়শ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিলেন তখনই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে সবান্ধবে ধরা পরেন তিনি।
এমন পরিস্থিতিতি পড়ে হতাশ সোনু জানান, ‘কোনোভাবে আর মাত্র দেড়শো কিমি পথ পেরিয়ে বাড়ির এলাকায় ঢুকে যেতে পারলেই কেউ আটকাতে পারতো না আমাকে। কিন্তু কি করার, কপাল আমার খারাপ। ধরা পড়ে গেলাম। বিয়ে তো হলই না তার ওপর এখন এভাবে এই সেন্টারে থাকতে হবে।’
পরে অবশ্য তিনি বলেন, ‘বিয়ে তো পরেও হতে পারে। আগে সবার সুস্থতা জরুরি।’ বলরামপুরের এসপি দেবরঞ্জন ভার্মা জানিয়েছেন, ‘বন্ধুদের নিয়ে চৌহান জেলায় প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের তাদের থামানো হয়। এখন তারা কোয়ারান্টাইন সেন্টারে। ১৪ দিন পর করোনা পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ আসলে তাদের চারজনকেই ছেড়ে দেওয়া হবে।’
আরপি/ এমবি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: