করোনা আতঙ্কে
কলম্বিয়ার কারাগারে সংঘর্ষ, নিহত অন্তত ২৩
করোনা আতঙ্কে কলম্বিয়ার একটি কারাগারে কারারক্ষীদের সঙ্গে বন্দিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৩ জন। গুরুতরভাবে দুই কারারক্ষীসহ আরও আহত হয়েছে ৩৬ কারাবন্দি।
রোববার (২২ মার্চ) দেশটির রাজধানীর বোগোটার লা মডেল কারাগারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কারাগারে করোনা মোকাবেলার যথোপযুক্ত পরিবেশ নেই এবং কারাগারে অবস্থান করলে করোনায় আক্রান্ত হতে হবে; এমন ধারণা থেকে জেল ভেঙ্গে বের হয়ে আসতে উদ্যত হয় কারাবন্দিরা। এসময় কারারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রী মার্গারিটা ক্যাবেলো জানান, এই ঘটনায় অন্তত ৮৩ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়। বাকিদের থেকে ৩৬ জন কারাবন্দী এবং সাতজন কারারক্ষীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মাঝে দুই জন কারারক্ষীর অবস্থা সংকটাপন্ন। এই ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান ক্যাবেলো।
তবে এই ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত বলেও সন্দেহ করছে দেশটির প্রশাসন। বোগোটার কারাগার ছাড়াও দেশটির মোট ১৩টি কারাগারে বন্দিদের সঙ্গে কারারক্ষীদের সংঘর্ষের তথ্য থেকেই এমন সন্দেহ কর্তৃপক্ষের।
এদিকে কারাগারের পরিবেশ ‘অস্বাস্থ্যকর’ এমন অভিযোগ নাকচ করে মার্গারিটা ক্যাবেলো বলেন, সেখানে (কারাগারে) কোনো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়নি, যে কারণে এমন পরিকল্পনা করতে হবে এবং সংঘর্ষের সূত্রপাত হবে। কারারক্ষী, কারাবন্দি এবং কর্তৃপক্ষের একজন কর্মীও করোনা আক্রান্ত নয়।
কারাগারে সংঘর্ষের ঘটনা জানাজানি হলে, দেশটির বিভিন্ন কারাগারের বাইরে বন্দিদের স্বজনেরা জড়ো হতে শুরু করেন। এসময় কারাগারের ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন বলে দাবি করেন স্বজনেরা।
দেশটির কারাগারগুলোতে বন্দি পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। দেশটির ১৩২টি কারাগারে প্রায় ৮১ হাজার বন্দির ধারণ ক্ষমতা থাকলেও প্রায় এক লাখ ২১ হাজার বন্দি থাকেন কারাগারগুলোতে।
বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করা কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশ। কলম্বিয়ায় এখন পর্যন্ত ২৩১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে দুই জন ব্যক্তির।
আসছে মঙ্গলবার থেকে পুরো দেশজুড়ে ১৯ দিনের কোয়ারেন্টিনে যাচ্ছে কলম্বিয়া। ৭০ বছর বা তার থেকে বেশি বয়সী নাগরিকদের মে মাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির সরকার।
আরপি/ডিজে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: