আফ্রিকার উগান্ডায়
৪২ টির মধ্যে ৩৮ টি বেঁচে আছে
-2019-08-30-16-46-19.jpg)
বাংলাদেশের ঘোষনা ‘ দুটি সন্তানের বেশি নয় একটি হলে ভাল হয়’। সন্তান জন্ম দেয়ার অপারগতার প্রকাশ পেলে আমাদের দেশে স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। কি›তু বেশি সন্তানের জন্য বাড়ি থেকে বার করে দিলেন স্বামী!
আফ্রিকার উগান্ডায় বসবাস করেন ৩৯ বছরের মারিয়ম নবট্যানজি। ৩৯ বছর বয়সে ৪২ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন এই নারী। বর্তমানে বেঁচে আছে ৩৮ জন। ৩৮ সন্তানের ভরণপোষণের দায় নিজের ঘাড়ে।
কামপালার উত্তরে ৫০ কিলোমিটার দূরে একা বাস করেন এই স্বামী পরিত্যক্তা।
মারিয়মের ১২ বছর বয়সে বিয়ে দেন তার দাদি। এর এক বছর পরই মারিয়মের কোল জুড়ে আসে যমজ সন্তান। এতে খুব খুশিও হয়েছিলেন মারিয়ম।
জমজ সন্তান জন্মদেয়ার প্রক্রিয়া চলতে থাকে। টানা চার বার যমজ সন্তানের জন্ম দেন মারিয়ম। কোনো সমস্যা হচ্ছে মনে করে মারিয়ম চিকিৎসকের কাছে যান। ডাক্তার জানালেন, তার ডিম্বাশয়ের আকার অত্যন্ত বড় এবং তিনি নিজেও ভীষণভাবে ফার্টাইল।
চিকিৎসক আরও জানান, কোনো গর্ভনিয়ন্ত্রক ওষুধও তার পক্ষে মারাত্মক হতে পারে। এই অবস্থায় মারিয়মের গর্ভনিয়ন্ত্রণের অপারেশন করা হলে তার মৃত্যু হতে পারে।
এরই মধ্যে ৮ সন্তানের জন্ম দিয়ে ফেলেছেন। স্বামীকে বিষয়টা জানিয়ে মারিয়ম বলেন, বারবার এভাবে একাধিক সন্তানের জন্ম দেয়াটা বন্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু স্বামী তার কথায় মোটেও কর্ণপাত করেননি।
আর এতে চিকিৎসকের আশঙ্কাই সত্যি হয়। পরপর চার বার ত্রিপলেট (এক সঙ্গে তিন সন্তান) এবং পাঁচ বার কোয়াড্রুপলেট (এক সঙ্গে চার সন্তান)-এর জন্ম দেন মারিয়ম। সন্তানের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪২ টি তবে ৩৮ টি বেঁচে আছে।
আড়াই বছর আগে শেষবার মা হয়েছিলেন মারিয়ম। সে বারও যমজ সন্তানের জন্ম দেন। এরপরই তাকে বাড়ি থেকে বার করে দেয় স্বামী। এ সময়ে অন্য এক মহিলাকে বিয়েও করেছিলেন।
আরপি/এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: