রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


চাকরির পরীক্ষার নামে নগ্ন করে ‌‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট’


প্রকাশিত:
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:৫৫

আপডেট:
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:৫৭

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের গুজরাটে নারীদের চাকরি করার মতো শারীরিক সক্ষমতা রয়েছে কিনা- তা পরীক্ষা করার জন্য নগ্ন করে ‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট’ করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় অনেককে জোর করে স্ত্রীরোগবিষয়ক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পর তার তদন্ত করছে কর্তৃপক্ষ। খবর এনডিটিভির।

ভুক্তভোগী নারীরা জানিয়েছেন, তারা গর্ভবতী কিনা- সেই পরীক্ষাও করা হয়েছে। গুজরাটের সুরাট শহরের শিক্ষানবিশ সরকারি কেরানি হিসেবে কাজ করেন এ নারীরা।গত বৃহস্পতিবার সুরাটের মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কর্মচারী সংঘের পক্ষ থেকে ওই অভিযোগ করা হয়েছে। ওই কর্পোরেশনে শতাধিক ভুক্তভোগী নারী কাজ করেন।

গুজরাটের একটি কলেজের ছাত্রীনিবাসে জোর করে ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলিয়ে তাদের ঋতুস্রাব পরীক্ষা করার ঘটনার অভিযোগ ওঠার কয়েক দিনের মধ্যেই ঘটল এ ঘটনা।

সুরাট মিউনিসিপ্যাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ নামের একটি সরকারি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করছে কর্মচারী সংঘ।তিন বছরের শিক্ষানবিশ শেষে স্থায়ীভাবে চাকরিতে নিয়োগ পেতে হলে প্রত্যেক শিক্ষানবিশকে এই স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

আরোও পড়ুন:চরকা ঘুরিয়েই গান্ধীকে ভুলে গেলেন ট্রাম্প

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, তাদের একটি কক্ষে নগ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য করা হয় এবং প্রতিবারে কক্ষে ১০ জনকে একসঙ্গে উপস্থিত করা হয়। সেখানে নারী ডাক্তাররা তাদের ওপর আপত্তিকর ‘ফিঙ্গার টেস্ট’ পরিচালনা করেন।

ভুক্তভোগী নারীরা জানান, পরীক্ষা চলাকালীন কক্ষের দরজাও পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি। পরীক্ষা চলার সময় দরজায় শুধু একটি পর্দা ছিল।হাসপাতালের প্রধান বন্দনা দেশাই দাবি করেন, তাদের হাসপাতালে এ যাবৎ প্রায় ৪ হাজার শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং আজ পর্যন্ত একটি অভিযোগও আসেনি।

তিনি আরও বলেন, ‘শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা আমরা পুরোপুরি নিয়ম মেনেই করে থাকি। এ নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।

 

আরপি/এমএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top