রাজশাহী শুক্রবার, ১০ই মে ২০২৪, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১


ট্রুডো-মেলানিয়ার রসায়ন: ট্রাম্পের বিরক্তি


প্রকাশিত:
২৯ আগস্ট ২০১৯ ০৮:০২

আপডেট:
১০ মে ২০২৪ ১৬:৩৭

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা এখন ব্যস্ত মেলানিয়া ও ট্রুডোর চুমুর ময়নাতদন্ত নিয়ে। ফ্রান্সের বায়ারিতজে এ সম্মেলনের শেষদিন সোমবার জোটের নেতারা ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন গ্রুপ ফটোর জন্য। নেতাদের সঙ্গে তাদের স্ত্রীরাও ছিলেন।

ইউরোপীয় প্রেস ফটো এজেন্সির এক আলোকচিত্রীর তোলা সেই ছবিগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে রসিকতা করছেন অনেকে। অনেকে আবার খুলে দিয়েছেন কল্পনার লাগাম।

তবে বিষয়টি শুধু রসিকতায় থেমে থাকেনি। মূল ধারার কয়েকটি সংবাদমাধ্যম রীতিমতো বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এক্সপার্টদের দিয়ে ছবিগুলো পরীক্ষা করিয়ে ট্রাম্প, মেলানিয়া আর ট্রুডোর ওই মুহূর্তের রসায়ন বোঝার চেষ্টা করেছে।

জি-৭ সম্মেলনের শেষে গ্রুপ ফটো সেশনে মার্কিন ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প আর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর রসায়ন বেশ জমে উঠেছিল।

পাশে দাঁড়ানো ট্রুডোর দিকে মেলানিয়ার মোহিনী চাহনি, বাতাসে চুমু এবং স্ত্রীর হাত শক্ত করে ধরে ট্রাম্পের তা থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা আর থমথমে মুখে জ্যামিতিক বিরক্তি এখন নেটিজেনদের গবেষণার খোরাক হয়েছে। জি-৭ সম্মেলনের গুরুগম্ভীর সব আলোচনা যেন গুরুত্ব হারিয়েছে এই ছবির কাছে।

বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এক্সপার্ট প্যাটি উড এক্সপ্রেস ইউকেকে বলেছেন, চুম্বনরত মেলানিয়ার হাত ধরে থাকা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেহারায় তিনি রাগের চিহ্ন দেখছেন।

উড বলেন, আপনি যদি খেয়াল করেন, ট্রাম্প তার চিবুক ঝুঁকিয়ে রেখেছেন, গম্ভীর চেহারা করে নিচের দিকে তাকিয়ে আছেন। খেয়াল করুন, তার ঠোঁটগুলো পরস্পরের ওপর কীভাবে চেপে বসে আছে। চোখের কোণগুলো বেঁকে আছে নিচের দিকে।

ট্রাম্পের চোখগুলোতে নজর দিন, দেখবেন ভ্রুগুলোতে টেনশন। ওই দৃষ্টিকে আমি বলি ‘উইকেড লুক’। তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্টের দুই ভ্রুর মাঝের অংশ কুঁচকে ‘ভি’র আকার নিয়েছে। এটা হল রাগের একটা লক্ষণ।

প্যাটি উডের ধারণা, স্বামীর হাত ধরে ওই রকম মোহিনী চাহনি হেনে ট্রুডোকে ওইভাবে চুমু মেলানিয়া ইচ্ছে করেই দিয়েছেন। কারণ, এর আগের ছবিতে ট্রাম্পকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাত্রেঁদ্ধার স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাত্রেঁদ্ধা ও জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলকে চুমু খেতে দেখা গেছে।

তবে উডের ওই পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত নন আরেক বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বিশারদ জুডি জেমস। তার মতে, ট্রাম্প আর মেলানিয়া তাদের দাম্পত্য জীবনে যথেষ্ট সুখী। ওই ছবিতে ভিন্ন কোনো বার্তা পাওয়ার সুযোগ নেই। জুডি জেমসের মতে, ক্যামেরার যে ‘অ্যাংগেল’ থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে, সেটাই সোশ্যাল মিডিয়ায় এত হইচইয়ের কারণ।

 
 
আরপি/এএস
 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top