রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


পদত্যাগ করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী


প্রকাশিত:
১০ আগস্ট ২০২২ ০৪:৪১

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ২৩:৫২

ছবি: সংগৃহিত

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার পদত্যাগ করেছেন। তার এ পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে ভেঙে গেল রাজ্যটিতে ক্ষমতাসীন জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)-বিজেপির জোট।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজ্যের গভর্নরের কার্যালয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তারপর সেখান থেকে বেরিয়া অপেক্ষমান সংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি পদত্যাগ করেছি, এবং এ ব্যাপারে দলের বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

২০২০ সালে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ ও বিজেপির রাজনৈতিক ঐক্যমঞ্চ ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোট। কিন্তু তার দু’বছরের মধ্যেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে ছাড়লেন তিনি।

তবে বিজেপির সেঙ্গ সম্পর্কচ্ছেদ ঘটলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদ সম্ভবত ছাড়তে হবে না তাকে। কারণ, ভাররেতর একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে ইতোমধ্যেই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) প্রধান তেজস্বী প্রসাদ যাদবের সঙ্গে নতুন সরকার গঠনের বিষয়টি প্রায় পাকা করে ফেলেছেন তিনি। যদি জেডিইউ-আরজেডির সমন্বয়ে নতুন সরকার গঠিত হয়, তাহলে সে সরকারেও তার মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকা নিশ্চিত।

বিহারের বিধানসভার মোট আসনসংখ্যা ২৪৩টি। কোনো দল বা জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন হয় ন্যূনতম ১২২টি আসন। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ পেয়েছে ৪৫টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ৭৭টি আসন, আরজেডি পেয়েছে ৭৯টি আসন কংগ্রেস পেয়েছে ১৯টি আসন, সিপিআইএমল (লিবারেশন) পেয়েছে ১২টি আসন ও বাকি ৪টি আসন পেয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দল।

নির্বচানের পর নিজেদের মধ্যে জোট গঠনের মাধ্যমে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করে জেডিইউ-বিজেপি; এবং একক দলের হিসেবে সর্বোচ্চসংখ্যক আসন পেয়েও বিধানসভায় বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসতে হয় আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে।

তবে বিহারের টানা ৫ বারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার পদত্যাগ করায় এবার তেজস্বী বিরোধী দলীয় নেতা থেকে সরকারি জোটে আসতে যাচ্ছেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিভিন্ন ইস্যুতে গত কয়েক মাস ধরেই বনিবনা হচ্ছিল না জেডিইউ ও বিজেপির মধ্যে। তবে এই দ্বন্দ্ব চুড়ান্ত পর্যায়ে যায় জেডিইউর দলত্যাগী নেতা আরসিপি সিংকে ঘিরে।

একসময়ের নীতিশ ঘণিষ্ঠ নেতা আরসিপি সিং ২০২০ সালে জেডিইউ ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন। তারপর নির্বাচনী জয়ীও হন।

চলতি রাজ্য সরকারের মন্ত্রিসভায় আরসিপি সিংকে অন্তর্ভূক্ত করতে নীতিশ কুমারকে আহ্বান জানিয়েছিলেন বিহার রাজ্য বিজেপির নেতারা। কিন্তু তিনি তাতে সাড়া না দেওয়ায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত শাহর সুপারিশে তাকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

এই দ্বন্দ্বের জেরেই মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীতিশ কুমার।

আরপি/এসএইচ-০৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top