রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ


প্রকাশিত:
৪ এপ্রিল ২০২২ ০১:২০

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৫১

ফাইল ছবি

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে সংসদে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি।

এই পদক্ষেপকে সংবিধানের ৫ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী উল্লেখ করে প্রস্তাবটি খারিজ করেন ডেপুটি স্পিকার। একই সঙ্গে তিনি জাতীয় পরিষদের অধিবেশনও মুলতবি করেছেন। খবর আল জাজিরার

খবরে বলা হয়েছে, ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ কারণে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট।

এই ঘটনার পর জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

পাকিস্তানের একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, রোববার ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ১ ঘণ্টারও বেশি সময় দেরিতে শুরু হয় অধিবেশন। অনাস্থা প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক উল্লেখ করে সরাসরি তা খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার।

অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের পর আপাতত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ রক্ষা করলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান।

বিরোধী দলগুলো পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেন। পরে রোববারের অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন সুরি।

এর আগে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। ইসলামাবাদ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এক নোটিশে রেড জোন এলাকায় পাঁচজনের বেশি মানুষের সব ধরনের জমায়েত, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।

গত ৮ মার্চ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধীদলগুলো। ওই প্রস্তাবের ওপর পরের ৯ মার্চ ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাতীয় পরিষদের এক জন সদস্যের মৃত্যুর কারণে ২৮ মার্চ পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবির ঘোষণা দেন স্পিকার আসাদ কায়সার।

এরপর ২৮ মার্চ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাবটি উত্থাপনের পর ৩১ মার্চ পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করেন ডেপুটি স্পিকার কাশেম খান সুরি। পূর্ব নির্ধারিত ৩১ মার্চ অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার তা ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রাখেন।

অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর ইমরান খান বারবার বলেছেন, ‘পরিস্থিতি যাই হোক, আমি পদত্যাগ করব না। আমি শেষ বল পর্যন্ত খেলব। আমি অনাস্থা ভোটের একদিন আগে তাদের চমকে দেব।’

৩৪২ সদস্যের জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ইমরান খানকে ১৭২ জনের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। তার দল পিটিআইয়ের সদস্য সংখ্যা ১৫৫। তবে দলের কয়েকজন সদস্য এবং জোট শরীকরা ইমরানের পক্ষ ত্যাগ করায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারতে হয় তাকে।

 

 

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top