রাজশাহী রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১


চিলির প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি


প্রকাশিত:
২৭ অক্টোবর ২০১৯ ০৬:১৮

আপডেট:
২৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৪:৫০

ছবি: সংগৃহীত

অর্থনৈতিক সংস্কার ও প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরার পদত্যাগ দাবিতে ল্যাতিন আমেরিকার দেশ চিলিতে গত সপ্তাহে শুরু হওয়া বিক্ষোভ এখনো চলছেই। শুক্রবারের বিক্ষোভে দশ লক্ষাধিক মানুষ যোগ দিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সান্তিয়াগোর গভর্নরের দেয়া হিসাব অনুযায়ী, গোটা দেশব্যাপী দশ লাখের বেশি মানুষ গতকাল শুক্রবারের বিশাল এই বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, শুধু রাজধানী সান্তিয়াগোতেই ৮ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন।

বিক্ষোভকারীরা জাতীয় পতাকা সঙ্গে নিয়ে ১৯৭৩-৯০ দশকের স্বৈরশাসক অগাস্টো পিনোচেটের সময়কার একটি জনপ্রিয় প্রতিবাদী গান গাচ্ছেন। ল্যাতিন আমেরিকার সবচেয়ে স্থিতিশীল দেশ হিসেবে পরিচিত চিলিতে এই বিক্ষোভ গত কয়েক দশকের মধ্যে ব্যাপক ও সহিংস আকার ধারণ করেছে।

 

এএফপি বলছে, প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান এক টুইট বার্তায় বিক্ষোভ সম্পর্কে নিজের অবস্থান জানিয়ে বলেছেন, ‘আপনার কি বার্তা দিতে চাচ্ছেন আমি তা বুঝতে পেরেছি।’

তবে তার এমন ঘোষণাকে পরিবর্তনের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত বলছেন বিশ্লেষকরা।

জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে অনেক দিন ধরেই অসন্তোষ বাড়ছে চিলিতে। সেই অসন্তোষের আগুণে ঘি ঢেলে দেয় মেট্রোরেলের ভাড়া বৃদ্ধি। ৬ অক্টোবর সরকার মেট্রোরেলের ভাড়া ৮০০ পেসো থেকে বাড়িয়ে ৮৩১ পেসো করার ঘোষণা দিলে বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে গোটা চিলির মানুষ।

গত ১৯ অক্টোবর বিক্ষোভ শুরু হলে কয়েকদিনের মাথায় তা সহিংস রুপ ধারণ করে। বিভিন্ন জায়গায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন অঞ্চলে দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

দেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামোর সংস্কারে দাবিতে প্রতিবাদ জানাতেই এই বিক্ষোভ। অনেকে মনে করেন সরকারের বর্তমান নীতি তাদেরকে পেছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিশেষ করে অল্প বেতন ও পেনশন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যায়বৃদ্ধি এবং ধনী ও গরীবের মধ্যে বৈষম্য তার মধ্যে অন্যতম।

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top