রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ১৩ই মার্চ ২০২৫, ৩০শে ফাল্গুন ১৪৩১


বাঁ পায়ের গোড়ালিতে চোট,শ্বাসকষ্ট: ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে মমতা


প্রকাশিত:
১১ মার্চ ২০২১ ১৫:০২

আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ২৩:৫৬

ছবি: সংগৃহীত

তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বাঁ পায়ের গোড়ালির হাড়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন; পায়ের পাতা, ডান হাত এবং ডান কাঁধেও রয়েছে চোট। আগামী ৪৮ ঘণ্টা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক মণিময় বন্দোপাধ্যায়।

বুধবার নন্দীগ্রামের রানিচক গিরিবাজার মন্দিরে আহত তৃণমূল সভানেত্রীর এমআরআই ও অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক মণিময় বন্দোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের পত্রিকা আনন্দবাজারকে বলেন, ‘পরীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, তার বাঁ পায়ের গোড়ালি ও পায়ের পাতার হাড়ে গুরুতর চোট রয়েছে। এছাড়া চোট রয়েছে ডান কাঁধ, ডান হাত ও গলায়। ঘটনার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনুভব করছেন। ৪৮ ঘণ্টার জন্য তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’

২৭ মার্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে। মমতা বন্দোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে বুধবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সেখানে মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী মমতার এক সময়ের ডানহাত শুভেন্দু অধিকারী; যিনি সম্প্রতি মমতার মন্ত্রিত্ব ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

বুধবার দুপুরে হলদিয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নন্দীগ্রামে ফেরেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে রাত কাটানোর কথা ছিল তার। বিকেলে তিনি যান রানিচক গিরি বাজার মন্দিরে। হরিনাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখান থেকে বেরনোর সময় তিনি পড়ে যান।

মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, ‘ভিড়ের মধ্যে ৪-৫ জন বাইরে থেকে ঢুকে পড়েছিল। ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় আমাকে। ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা মারা হয়। এর পিছনে ষড়যন্ত্র ছিল।’

পায়ে চোট পাওয়ার কারণে হাঁটতে পারছিলেন না মমতা। তাকে পাঁজাকোলা করে গাড়িতে তোলা হয়। বরফ দিয়ে বাঁ পায়ে জড়িয়ে দেওয়া হয় কাপড়। তার বাঁ পা ফুলে গেছে। চোট লেগেছে কপাল ও মাথায়। জ্বর জ্বর ভাবও রয়েছে। এমনকি বুকে ব্যথা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রানিচক থেকে গাড়ি করে মুখ্যমন্ত্রীকে তার অস্থায়ী ঠিকানা রেয়াপাড়ার বাড়িতে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি গাড়ি থেকে নামতে পারছিলেন না। পায়ে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে বলেও জানান। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে কলকাতায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সেই অনুযায়ী ‘গ্রিন করিডোর’ করে তাকে কলকাতায়র এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, ভর্তি করা হয় উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে। হাসপাতালে একাধিক পরীক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে তার এমআরআই করানো হয়। তারপর রাত ১ টা নাগাদ ফের আনা হয় উডবার্ন ওয়ার্ডের কেবিনে।

বৃহস্পতিবার তার সিটি স্ক্যান করানোর কথা আছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে ৭ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করেছে এসএসকেএম হাসপাতাল।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, উডবার্ন ওয়ার্ডের ওই সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনেই রাখা হয়েছে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে। মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা নিয়মিত তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন।

আরপি / এমবি-১



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top