রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


রাবির ক্রপ সায়েন্স বিভাগের তিন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল


প্রকাশিত:
৩০ জানুয়ারী ২০২০ ০৮:১০

আপডেট:
৩০ জানুয়ারী ২০২০ ০৮:১০

ছবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের তিন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করেছে আদালত। একইসঙ্গে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ২০১৬ সালের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার শুনানি শেষে বিচারক মো. আশরাফুল কামাল ও রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় প্রদান করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে বিভাগের প্ল্যানিং কমিটি আবেদনের জন্য বিভিন্ন যোগ্যতা নির্ধারণ করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। তবে তখন নিয়োগ হয়নি। বিভাগের প্ল্যানিং কমিটিকে না জানিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিজ্ঞপ্তিতে কিছুটা পরিবর্তন করে পরবর্তীতে ২০১৯ সালে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তাই আদালত এই বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ পাওয়া তিন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করেছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘২০১৬ সালের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যারা আবেদন করেছিলেন সেই প্রার্থীদের আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।’

এদিকে, শুনানি চলাকালীন আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবীকে বলেছিলেন এ বিষয়ে রায় ঘোষণার পূর্বে প্রশাসন যেন কোনো কিছু প্রসিড না করে। তা সত্ত্বেও গত রবিবার (২৬.০১.২০) সকালে উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা বোর্ড শুরু হয়। ওইদিন সন্ধ্যাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯৭তম সিন্ডিকেট সভায় তাদের নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। সভায় তিন সদস্য তাদের নিয়োগে বিরোধিতা করেন। এ ছাড়াও ভাইভা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক এই নিয়োগকে ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে তা বন্ধের দাবি জানান। নিয়োগপ্রাপ্ত ওই তিন শিক্ষকের নাম শামসুন্নাহার, মুখতার হোসেন ও রেজভী আহমেদ ভুঁইয়া।

জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম এ বিষয়ে এখনও কিছু শোনেননি বলে প্রতিবেদককে জানান। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এম এ বারীকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য আব্দুস সোবহান বলেন, আদালত ভর্ৎসনা করেনি। ভর্ৎসনার বিষয়টি তাদের মনগড়া। ভর্ৎসনার কথা ছড়ানো হলে প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর তিনটি পদের বিপরীতে বিভিন্ন যোগ্যতা নির্ধারণ করে বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই সময় ৩৮টি আবেদন জমা পড়ে। তবে ওই বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ হয়নি। পরবর্তীতে গত বছরের ৩০ জুলাই বিভাগের প্ল্যানিং কমিটিকে না জানিয়েই প্রভাষক পদের জন্য এগ্রিকালচারাল ক্যামিস্ট্রি নামে নতুন একটি বিষয় যুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের প্রশাসন। এর পরপরই হাইকোর্টে রিট করেন বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সদস্য অধ্যাপক আলী আসগর। এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের ২১ আগস্ট নতুন বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না তা জানতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি শুনানি শেষ হয়।

 

 

আরপি/এমএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top