রাজশাহী শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১

মাদরাসা শিক্ষকের ‘অবৈধ প্রেম’, ছাত্ররা অবরুদ্ধ


প্রকাশিত:
২২ জুলাই ২০২৩ ০৫:২১

আপডেট:
৪ মে ২০২৪ ১৪:০৩

প্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে একটি হাফেজিয়া মাদরাসায় তালা লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। ওই মাদরাসার এক শিক্ষকের স্থানীয় এক নারীর সঙ্গে অবৈধ প্রেমের সম্পর্কের জেরে ছাত্রদের অবরুদ্ধ করে রাখা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দিনগত রাতের কোনো এক সময় মাদরাসার গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা।

শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকেলে ওই মাদরাসার সভাপতি আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত মাদরাসার শিক্ষকের নাম রবিউল ইসলাম রবি। তিনি রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার খোজাপুর এলাকায় অবস্থিত রিয়াজুল জান্নাহ হাফেজিয়া মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন।

আব্দুল খালেক বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি এলাকার এক নারীর সঙ্গে রবিউল ইসলাম রবির অবৈধ সম্পর্ক আছে। মোবাইলে আবার সেই ছবি উঠানোও আছে। সেটা সাজানো ঘটনা নাকি জড়িত থাকার সত্য ঘটনা সেটা তো জানি না। কিন্তু এলাকার মানুষেরা বলল, তার একটা বিচার করতে হবে, সে অসামাজিক লোক।

সভাপতি বলেন, আমি তাকে চলতি মাসের ৭ তারিখে (৭ জুলাই) বিদায় করে দিলাম। পরে যে এলাকার (ধরমপুর পূর্বপাড়া) মেয়ে সেখানকার লোকজন কী করেছে না করেছে আমি আর জানি না। সেখানকার যুবকরা বলছিল রবির বিচার চাই, তাকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এর মধ্যেই গত রাতে কে বা কারা মাদরাসায় তালা লাগিয়ে দিয়েছে সেটাও জানি না। পাশেই যে গোরস্থান আছে সেখানেও তালা লাগিয়ে দিয়েছে।

আব্দুল খালেক আরও বলেন, পুলিশের লোক আসছিল, আমাকে ডেকে বলল, ‘আমাদের সামনে তালা ভেঙে ফেলেন। কেউ বিনা বিচারে তালা লাগাতে পারে না।’আমি বললাম, ‘তালাটা ভাঙতে যাবো প্রতিপক্ষরা যদি বিশৃঙ্খলা তৈরি করে মারধর বা মার্ডার হয়ে যায়, তখন তো ফাঁসে যাবো। যেহেতু সিটি করপোরেশন গোরস্থান করেছে, তাদের তালা ভাঙার দায়িত্ব সরকারের, না হলে ওয়ার্ড কমিশনারের। আপনারা দেখেন আমি পারবো না।’

তবে ওই মাদরাসায় লাগানো তালা খুলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন। তিনি বলেন, আমি তো জানি তালা খুলে দেওয়া হয়েছে। আর এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। আমি তো ওইদিকে গিয়েছিলাম দেখলাম গোরস্থানের মধ্যে লোকজন দোয়া-মোনাজাত করছে।

তালা লাগানোর কারণ প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ওদেরই মধ্যে কী একটা যেন ঝামেলা চলছিল। এখনো কেউ কিছু বলছেও না, অভিযোগও দেয়নি। ওদের মধ্যে কমিটিকেন্দ্রিক ঝামেলা থাকতে পারে। আর অভিযোগ পেলে ভালোভাবে জানা যেত।

এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদ রানাকে একাধিক বার ফোন করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাই তার মন্তব্যও পাওয়া যায়নি।

অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক রবিউল ইসলাম রবির মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

 

 

আরপি/এসআর-০৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top