রাজশাহী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেও মানসিকভাবে সক্রিয়


প্রকাশিত:
১৩ নভেম্বর ২০২০ ২১:৫৮

আপডেট:
১৩ নভেম্বর ২০২০ ২১:৫৯

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিতে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। প্রতি শনিবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিএনপি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেও মানসিকভাবে সক্রিয় রয়েছেন। আমাদের রাজনীতিতে তার প্রভাব রয়েছে। তিনি রাজনীতি থেকে যাননি, যাবেন না। তার অস্তিত্ব গভীরভাবে দেশের জনগণের মাঝে আছে।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তার চিকিৎসার জন্য সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চিকিৎসার জন্য তার বিদেশে যাওয়াটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।

রাজধানীর বেশ কয়েকটি জায়গায় বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকলে দুষ্কৃতিকারীরা এমন নাশকতা চালায়। সরকারের কিছু এজেন্ট থাকে যারা এগুলো করে ভালো আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে গাড়ি পুড়িয়ে নাশকতার সৃষ্টি করে। বাধাগ্রস্ত এমন নাশকতার তীব্র নিন্দা জানাই।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে এক-এগারোর সরকারের লক্ষ্য ছিল ‘মাইনাস টু’। পরবর্তীতে তারা ‘মাইনাস ওয়ান’ বাস্তবায়ন করেন। আর তাদের এ কাজে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন আওয়ামী লীগ নেতারা। সে সময় শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে এক-এগারোর সরকারের সব কাজের বৈধতা দেবেন। সে জন্যই ক্ষমতায় এসে তিনি বিএনপিকে নির্মূল করতে থাকেন, যা গণতন্ত্রের জন্য ভালো ফল আনেনি, আনবেও না। সুপরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে হরণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হয়। গণতন্ত্র না থাকলে জবাবদিহিতা নেই। এটাই বড় সমস্যা।

‘বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য অন্তরায়’, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের জন্য বড় অন্তরায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি নয়। তারাই দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। বাকশাল গঠন করে তারাই এ দেশের গণতন্ত্রের কবর দিয়েছিলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন আইন করেছেন তারা, যা গণতন্ত্রের পক্ষে নয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের বর্তমানে পলিটিক্যাল এজেন্ডা একটাই– প্রকৃত জনগণের সরকার, সংসদ। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়। নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ছাড়া কোনোভাবেই বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা প্রতিনিধিত্বশীল সরকার চাই।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সংসদে জনগণের কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় না। চার-পাঁচ মিনিটের মধ্যে আইন পাস হয়, যা জনগণের কোনো কাজে লাগে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রকাশ্য এক সভায় বলেছিলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার আশেপাশে সিনসিয়ার লিডারশিপ তৈরি করতে পারেননি’। এই বক্তব্যের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তার আশেপাশে বিশ্বস্ত এবং দায়িত্বশীল নেতৃত্ব তৈরি করতে পারেননি, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।

ডিআরইউয়ের সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মঈনুল আহসানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ এবং মির্জা ফখরুলের জীবনী পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী। এ সময় দফতর সম্পাদক মো.জাফর ইকবালসহ কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

 

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top