রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


ক্যাসিনো

যারা ক্যাসিনো প্রতিষ্ঠার মূলহোতা তাদের গ্রেফতার করা হোক: নোমান


প্রকাশিত:
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৪৩

আপডেট:
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:১১

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘ক্যাসিনোর মাধ্যমে এ দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা জুয়াড়িদের কাছে চলে গেছে। এসব টাকা জনগণের সাদা টাকা। যারা জনগণের এই সাদা টাকা কালো টাকায় পরিণত করেছে, যারা ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত তারা সবাই আওয়ামী লীগের, যুব লীগের নেতাকর্মী, এটা সরকার নিজেই বলেছে। তাই যারা এই ক্যাসিনো প্রতিষ্ঠা করেছে, যারা মূলহোতা তাদের গ্রেফতার করা হোক, বিচোরের আওতায় আনা হোক।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদুর বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, র‍্যাব, ‘পুলিশ কিছু জুয়াড়িকে গ্রেফতার করে যারা মূলহোতা, যারা এ দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে, দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে, তাদের আড়াল করতে চাচ্ছে। এটা গণতন্ত্র হরণ করার একটি নমুনা।

নোমান বলেন, মানববন্ধন, ছোটখাটো আন্দোলনে এই সরকারের পতন হবে না। জনগণকে একত্রিত করে কঠিন আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করতে হবে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে।

শামসুজ্জামান দুদুর বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে নোমান বলেন, ‘শামসুজ্জামান দুদু জাতীয়তাবাদী দলের শুধু ভাইস চেয়ারম্যানই নন তিনি এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা এবং এই গণ আন্দোলনের একজন সাহসী সৈনিক। তার বিরুদ্ধে দুদক মিথ্যা মামলা দিয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে তার যে গণতান্ত্রিক অধিকার তা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। এই মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানাই এবং সঙ্গে সঙ্গে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে মানববন্ধনে আসতে আমার মাথা নত হয়ে যায়। কারণ, মানববন্ধন, ছোটখাটো আন্দোলনে এই সরকারের কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না। সরকারের পতন হবে না। কঠিন আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণকে একত্রিত করে এই সরকারকে বাধ্য করতে হবে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে।

তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার নামে যে মামলা করা হয়েছে তা রাজনৈতিক মামলা। তিনি হলেন দেশনেত্রী, তার সঙ্গে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি যাতে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না করতে পারেন, এজন্য তাকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। এ সরকার হলো- একটি অমানবিক সরকার, এ সরকার জনগণের ভালো চায় না, এ সরকার জনগণের বিরুদ্ধে। তাই আমরা চাই দেশে জাতীয় ঐক্য গঠন করে ৭১ সালে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম সেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারের পতন করতে হবে।’

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও চালক দলের সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন কবিরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মো. মাইনুল ইসলাম, এস কে সাদী, লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, ছাত্রদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা, পলাশ মন্ডল, মোক্তার আখন্দ প্রমুখ।

 

আরপি/ এমএএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top