রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


জামায়াত অনুমতি চেয়েছিল, কিন্তু আমরা অনুমতি দেইনি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


প্রকাশিত:
২৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৪০

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ১৬:৪২

ফাইল ছবি

জামায়াত ইসলামীকে শনিবারের সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, ‘শুধু জামায়াত নয়, নিবন্ধিত দল ছাড়া অনেকেই কিন্তু নানান ধরনের কথা বলছে। জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা সেখানে অবস্থান নিয়েছিল, আমরা তাদের কিছু বলিনি। তারা অনুমতি চেয়েছিল, কিন্তু তাদেরকে আমরা অনুমতি দেইনি। আমরা সবই ধৈর্য সহকারে মোকাবিলা করেছি।’

রোববার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

শনিবার বিএনপি নাশকতা করতে পারে বলে গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা গাড়ি পোড়াবে, মানুষ মারবে- এ ধরনের বিশ্বাস করতে পারি না। আমরা কি বিশ্বাস করতে পারি একজন সভ্য মানুষ একজন পুলিশকে হত্যা করবে? আমাদের বিশ্বাস ভেঙে দিলো, তারা কতখানি নৃশংস, কতখানি বর্বর।’

আরও পড়ুন: পাকিস্তানি বর্বর বাহিনীও বিএনপির মতো হামলা চালায়নি: ডিএমপি কমিশনার

ঘটনার বিষয়ে তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারাই (বিএনপি) এসব নাশকতা করে, সহিংসতার বিস্তার করার জন্য ঘটনাগুলো ঘটিয়েছেন। ২০১৪ সালে আমরা দেখেছি কীভাবে মানুষ পুড়িয়েছে। এ ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে। আমরা জনসাধারণকে রক্ষা করার জন্য পুলিশ বাহিনী ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করছে। আবার তারা হরতালের ডাক দিয়েছেন। আহত হলো পুলিশ, ক্ষতিগ্রস্ত হল মানুষের গাড়িঘোড়া আর হরতাল ডাকে বিএনপি! যারা নিজেরাই এই ঘটনাটা ঘটলো তারাই আবার হরতাল ডাকে!’

বিএনপি কার্যালয়ে বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে এক ব্যক্তির সংবাদ সম্মেলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আবার বিদেশি একজন নাকি এসে তাদের সমর্থন করছে, আমরা এই বিদেশির পরিচয় জানি না। তিনি একজন আমেরিকান, তার সঙ্গে নাকি জো বাইডেনের সরাসরি কথা হয়, তিনি এগুলো বলেছেন। বিএনপির প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে তিনি গোপন বৈঠক করেছেন। তাকেও জিজ্ঞাসা করি তিনি কীভাবে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশগ্রহণ করলেন? তিনি কে, তিনি যদি উপদেষ্টা হয়ে থাকেন তাহলে আমার প্রশ্ন রয়েছে। পররাষ্ট্র যে নীতি-নৈতিকতা কতখানি লঙ্ঘন করেছে সেখানেও আমাদের প্রশ্ন রয়েছে।’

যার আঘাতে পুলিশ মারা গেছে, তাকে গ্রেফতার করা যায়নি কেন- এ প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘অ্যারেস্ট আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে আমরা যাদের চিহ্নিত করবো, তাদেরকে অবশ্যই আইনের হাতে সোপর্দ করবো। যিনি এটা ঘটিয়েছেন (পুলিশকে মেরে আহত করেছেন) তিনি অসুস্থ হয়ে গেছেন, পেটালেন পুলিশকে আবার তিনিই অসুস্থ হয়ে গেলেন! আমরা এতগুলো ভিডিও দেখে জানলাম, মহাসমাবেশ শেষ হওয়ার আগে কোনো পুলিশ সেখানে যায়নি, কোনো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরও সেখানে বাধা দেওয়ার জন্য যায়নি।’

 

 

আরপি/এসআর-০২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top