রাজশাহী শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১


স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশকে কী দেবে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর


প্রকাশিত:
১৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:০১

আপডেট:
১৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:১৯

ফাইল ছবি

স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশকে কী দেবে বলে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাস তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, স্বাধীন দেশ। স্বাধীন সার্বভোমত্ব নিয়ে এগিয়ে যাক এটা তাদের পছন্দ না। তাই নানা বিরোধিতা করেছে। এজন্য স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতায় আসে। ২৯ বছরে তারা ক্ষমতায় থেকে দেশকে কী দিয়েছে? বিএনপির আমল থেকে যে অত্যাচার নির্যাতন শুরু হয়েছে মানুষের ওপর, সেটার ধারাবাহিকতা চলে। পরে ২০০৮ এ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। আমরা ক্ষমতায় এসে নানান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় ১৫০টি সেতু, ১৪টি ওভারপাস, স্বয়ংক্রিয় মোটরযান ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্র, ডিটিসিএ ভবন, বিআরটিসির ময়মনসিংহ বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ময়মনসিংহ জেলার কেওয়াটখালী ও রহমতপুর সেতুর নির্মাণকাজ এবং সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-আহত ব্যক্তি পরিবারের মধ্যে ক্ষতিপূরণ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

আরও পড়ুন: নির্বাচন আসলে ষড়যন্ত্রকারীরা এক হয়ে যায়: মেয়র লিটন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়কে অস্বভাবিক প্রতিযোগিতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা পরিহার করতে হবে। চালকদের এটা বুঝাতে হবে। বাস ট্রাক ড্রাইভার ও যাত্রীদের বিশ্রামের সুযোগ করে দিচ্ছি। গাড়ি চালাতে যেমন পেট্রোল লাগে, যাকে দিয়ে চালাবেন, তারও তো পেট্রোল দরকার। সেও তো একটা মানুষ, তার তো বিশ্রাম দরকার। বিশ্রামের সুযোগ দিতে হবে, তাদের যত্ন নিতে হবে। ড্রাইভারদের বলবো, দুর্ঘটনায় শুধু মানুষের জীবন যায় তা না, নিজেরও তো ক্ষতি হয়। গতি মেনে চলতে হবে। সড়কে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে।

সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমরা তাদের সহায়তা করেছি। অগ্নিসন্ত্রাসেও অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমরা তাদেরও সহযোগিতা করেছি। বাংলাদেশের মানুষের জীবনে যেনো এ ধরনের অগ্নিসন্ত্রাসের পরিস্থিতি না আসে। আমি বলেছি, কেউ আগুন দিতে আসলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিবে।

তিনি বলেন, আন্দোলন করুক আপত্তি নেই। আমরাও সারাজীবন আন্দোলন করেই আজ ক্ষমতায় আসছি। তারা ক্ষমতায় আসতে চায়, আন্দোলন করুক। আন্দোলন করেই এক সময় ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু মানুষের ক্ষতি যেনো করতে না পারে। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি একটা সন্ত্রাসী দল। তারা প্রতিদিন আমাদের পদত্যাগ চায়। সে দাবিতে প্রতিদিন আন্দোলন করছে, করুক। আমার আছে জনগণ। আমারতো আর কেউ নেই। বাবা-মা ভাইবোন সবইতো হারিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ এখানে সড়ক ভবন করেছি। এখানে চমৎকার একটা ভবন হয়েছে। বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার একটা হাব হয়ে গেলো। যদিও তাদের আগের যায়গা থেকে একরকম জোর করে তুলে দেওয়া হয়েছে। এটা দুঃখজনক। একদিক থেকে ভালোই হয়েছে, এখানে একটা চমৎকার একটা ভবন হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, সড়ক ও মাহসড় বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী ও সওজের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান।

 

 

 

আরপি/এসআর-০৬



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top