রাজশাহী সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১


মানবিক কারণে চিকিৎসার স্বার্থে খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশে পাঠানো হোক: ফখরুল


প্রকাশিত:
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৩২

আপডেট:
৬ মে ২০২৪ ০৪:৩১

ফাইল ছবি

মানবিক কারণে চিকিৎসার স্বার্থে খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশে উন্নত হাসপাতালে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরার আব্দুল্লাপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নিয়ে গেছে। এ দফায় তাকে দুইবার সিসিইউতে নেওয়া হলো। তিনি গুরুতর অসুস্থ। এ সরকারের আজ্ঞাবহ বিচারভাগ মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দিয়ে পাঁচ বছর আগে কারারুদ্ধ করেছিল। এরপর তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। শর্ত দিয়েছে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারবেন না। চিকিৎসা ব্যবস্থা একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। কারাগারে থাকলেও সব বন্দিকে চিকৎসা দিতে হবে। তার চিকিৎসকরা ও দলের পক্ষ থেকে বলেছি, মানবিক কারণে চিকিৎসার স্বার্থে দ্রুত বিদেশে উন্নত হাসপাতালে পাঠানো হোক। পরিষ্কার করে বলতে চাই- দেশনেত্রীর যদি সুচিকিৎসা না হয়, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো না হয় তাহলে এই হাসিনার সরকার দায়ী থাকবে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পর্যবেক্ষক কি ইউরোপের নির্বাচনে যায়, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

বিএনপির মহাসচিব বলেন, কারাবন্দি অবস্থায় বিদেশে পাঠানোর অনেক নজির আছে। জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল। আজকের যিনি জোর করে ক্ষমতায় বসে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকেও ওয়ান ইলেভেনের সময় কানের চিকিৎসার জন্য প্যারোলে আমেরিকায় পাঠানো হয়েছিল। আমরা সে কথা তো ভুলে যাইনি। আর আজকে দেশনেত্রীর জীবন মরণের সমস্যা। তার চিকিৎসকরা বলছেন, এখন যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে যদি তার সঠিক চিকিৎসা না হয় জীবন বিপন্ন হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক নম্বরের নেত্রী। শহিদ রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর এ দেশের গণতন্ত্রকে হরণ করা হয়েছিল। তা মুক্ত করার জন্য সেদিনকার গৃহবধূ রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। খালেদা জিয়ার রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। দেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাস্তায় নেমেছিলেন। গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে, পথে-প্রান্তে গণতন্ত্রেরের জন্য সংগ্রাম করেছেন। স্বৈরাচারকে উৎখাত করে ৯১ সালে জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। দুইবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এখনও কারাগারে থেকেও অসুস্থ অবস্থায় খালেদা জিয়া ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে কোনো আপস করেননি।

মির্জা ফখরুল নবলেন, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে চলেছেন। সব কিছু বাদি দেন একজন নারী, তিনি স্বামীকে হারিয়েছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি দুই শিশুপুত্রকে হাতে ধরে নিয়ে পালিয়ে পালিয়ে বেরিয়েছেন। আজকে এ দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকারে যদি কেউ থেকে থাকেন তার মধ্যে খালেদা জিয়া এক নম্বর, দুই নম্বর তারেক রহমান। নেত্রীকে শুধুমাত্র প্রতিহিংসার কারণে আটক করে রেখেছে। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এ অবস্থায় নিয়ে গেছে। তারা জানে দেশনেত্রী যদি বাইরে বেরিয়ে আসেন তাহলে তার ডাকে কোটি কোটি মানুষ বেরিয়ে আসবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে কেন্দ্রীয়সহ মহানগর ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন। সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতারা অংশ নেন।

 

 

আরপি/এসআর-১৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top