রাজশাহী সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১


শোক দিবসের অনুষ্ঠানে আ.লীগের দু’গ্রুপের হাতাহাতি


প্রকাশিত:
১৬ আগস্ট ২০২৩ ০৩:৫৪

আপডেট:
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১০:০১

ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার বামনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১৫ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় বামনা উপজেলা পরিষদের সামনে নির্মিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বামনা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সকাল ৯টায় জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শুরু হয়।

আরও পড়ুন: রাজশাহীসহ ১৬ জেলায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

পর্যায়ক্রমে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সরকার দলীয় সকল সংগঠন ও উপজেলার বিভিন্ন দফতর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।

এসময় উপজেলা সৈনিক লীগের পক্ষে পুষ্পস্তবক নিয়ে সভাপতি আলমগীর হোসেন খান ও তার নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানাতে আসলে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম সরোয়ার তাকে পুষ্পদান থেকে বিরত থাকতে বলেন। সৈনিকলীগ সভাপতি প্রতিবাদ করলে সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের অনুসারী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাংশ তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।

এসময় অপর পক্ষও চড়াও হলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা এমপির পক্ষে দেওয়া পুষ্পস্তবকসহ কয়েকটি পুষ্পস্তবক ভাঙচুর করে সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমানের সমর্থক বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। পরে কর্তব্যরত পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার হস্তক্ষেপে দু’পক্ষকে শান্ত করা হয়।

এদিকে ভুক্তভোগী সৈনিক লীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন খান অভিযোগ করে বলেন, আমি আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে পুষ্পস্তবক প্রদান করতে গেলে আমাকে ভেতরে যেতে বাধা দেয় যুবলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম সরোয়ার। তিনি আমাকে বলেন আপনার ফুল দেওয়া লাগবে না।

আপনি এখান থেকে চলে যান। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে যুবলীগ সভাপতি হঠাৎ আমাকে লাথি দিয়ে ফেলে দেয়। পরে তার অনুসারী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারাও আমার ওপর চড়াও হয়।

আরও পড়ুন: শোক দিবসের কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনা, আহত ১৬

এদিকে দুপক্ষের হাতাহাতিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দেওয়া সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা এমপিসহ কয়েকটি পুষ্পস্তবক ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত যুবলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম সরোয়ার বলেন, আমি সৈনিক লীগ সভাপতিকে বলেছি আপনি একটু পরে ফুল দিবেন।

ছোট সংগঠনগুলো দিয়ে যাক। এ কথা বলার পরে তিনি চড়াও হয়ে ওঠে। পরে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা পূর্বের বিএনপি কর্মী মহিবুর রহমান আমাদের ওপর চড়াও হলে হাতাহাতির সৃষ্টি হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড. হারুন অর রশিদ বলেন, আজকের জাতীয় শোক দিবসে যারা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দুই পক্ষের মধ্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে তাদেরকে থামানো হয়েছে।

 

 

আরপি/এসআর-১৭



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top