‘রোজায় মানুষকে কষ্ট দিতেই বিএনপির আন্দোলন’
রোজার মাসে মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্যই বিএনপি অকারণে আন্দোলন করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
শনিবার (০১ এপ্রিল) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের ৩১ শয্যা হাসপাতাল মাঠে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, রোজার মাসে মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্যই বিএনপি অকারণে আন্দোলন করছে। আর আওয়ামী লীগের কাজ হচ্ছে সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করা। তাদের ভালোমন্দ দেখা। তাই আজকে যুবলীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে রোজাদারদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী উপহার বিতরণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে চলেছে। সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ সকল সূচকে অভূতপূর্বক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে আজ সম্মানের সাথে দেখা হয়। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে।
কামরুল বলেন, বিএনপি একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল। ’৭১-এর পরাজিত শক্তি জামায়াত-বিএনপি আবারও মাথাচারা দিয়ে উঠছে, দেশের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। এই সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে যুবলীগকেই।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, মহামারি করোনা এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্বের অর্থনীতি যখন টালমাটাল সেই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘূর্ণায়মান। আর আমাদের আছে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। আজ ইউরোপে ১ ডজন মুরগী কেনা যায় না, ৫ লিটার তেল কেনা যায় না, ২ কেজি টমেটো কেনা যায় না। সেখানে একজন শেখ হাসিনা নাই বলেই আজকে বন্ধ হয়ে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক, সিগনেচার ব্যাংক, সুইজারল্যান্ডের ক্রেডিট সুইস ব্যাংক। আর বাংলাদেশে একজন শেখ হাসিনা আছে বলেই কোন ব্যাংক বন্ধ হয় না, ইন্স্যুরেন্স বন্ধ হয় না, না খেয়ে কেই থাকে না।
সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আজ বিএনপির নেতারা গণতন্ত্র নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছেন। বিএনপি করে কারা আপনারা ভাল করেই জানেন। যারা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ তারাই বিএনপি করে। বিএনপির জন্ম সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে। জিয়াউর রহমান বন্দুকের গুলিতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিল। তার সন্তান তারেক রহমান। ২০০২-২০০৬ সাল বাংলাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছিল। সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছিল। বাড়ি-ঘর করতে গিয়ে চাঁদা দেওয়া লেগেছে, ব্যবসা করতে গিয়ে চাঁদা দেওয়া লেগেছে। তিনি আরও বলেন, বিএনপির যারা কুলাঙ্গার আছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করবই করবো।
আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন— যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন খসরু, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মো. আবদুল হাই, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-অর্থ সম্পাদক সরিফুল ইসলাম দুর্জয়, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীমসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
আরপি/এসআর-১১
বিষয়: কামরুল ইসলাম আওয়ামী লীগ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: