রাজশাহী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


নৌকা না ছাড়তে কোরআন ছুঁয়ে শপথ করালেন এমপি


প্রকাশিত:
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৪৫

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৪৪

ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিজের পক্ষে রাখতে পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ করিয়েছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। ইতোমধ্যে কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ করানোর একাধিক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদ ভবনে নিজ কার্যালয়ে ১২ জন দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের কোরআন শরীফ ছুঁয়ে আনুগত্যের শপথ করান তিনি।

ভিডিওতে দেখা যায়, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী চেয়ারে বসে থেকে মোবাইলে ভিডিও করছেন। আর এক এক করে জনপ্রতিনিধিরা এসে এমপির সামনে টেবিলে রাখা কোরআন শরীফে হাত রেখে শপথ করছেন। কোরআন শরীফে হাত রেখে বলতে শোনা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ, নৌকা ও স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরোধীতা বা তাদের সঙ্গে বেইমানি করবো না।

পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁয়ে রেখে গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেলকে বলতে শোনা যায়, ‘আজকে আমি পবিত্র কোরআন ছুঁয়ে বলছি, আমি প্রধানমন্ত্রীর বিপক্ষে কোনদিন যাবো না ইনশাআল্লাহ। মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর নির্দেশনা অনুযায়ী এলাকায় দলীয় সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবো ইনশাআল্লাহ।’

এরপর সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘নৌকার সঙ্গে বেঈমানি করবো না।’ তখন কোরআনে হাত রেখে সোহেলও বলেন, ‘নৌকার সঙ্গে বেঈমানি করবো না।’

শপথ করানো শেষে উপস্থিত ১১ জনের সঙ্গে ছবি তোলেন ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি। ওই ছবিতে গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, গোদাগাড়ী পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, মাটিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা, দেওপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেলসহ গোদাগাড়ীর ৭টি ইউপির চেয়ারম্যানদের দেখা যায়।

জানতে চাইলে কোরআন ছুঁয়ে শপথ নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন গোদাগাড়ী পৌর মেয়র ও গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়েজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করেছেন। আমরা শেখ হাসিনার পক্ষে থাকবো এজন্য কিছু নেতাকর্মী ও চেয়ারম্যানরা ঐক্যবদ্ধ হই। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার পক্ষে কাজ করবো এটাই আমাদের ওয়াদা।’

এ বিষয়ে জানতে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর সাথে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয় নি।

তবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) এসএম কামাল হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি এখনও কিছুই জানি না। তাই মন্তব্য করতে চাই না।’

 

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top