রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


স্বেচ্ছাসেবক দলের সমাবেশ, চেয়ারে বসা নিয়ে মারামারি


প্রকাশিত:
২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:১৯

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৩০

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সমাবেশে দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সামনের চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে এ মারামারির সূত্রপাত বলে জানা যায়।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর কোর্ট এলাকার লোটাস কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে লোটাস কমিউনিটি সেন্টারে রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল ওই কর্মী সমাবেশের আয়োজন করে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নূসরাত ইলাহি রিজভীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী। প্রধান বক্তা ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান।

বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কর্মী সমাবেশ শুরু হওয়ার ঠিক আগ মূহুর্তে কমিউনিটি সেন্টারে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রবেশ করছিল। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি গ্রুপ সামনের সারির চেয়ারে বসার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করে। এতে অন্য একটি গ্রুপ বাধা দিলে উভয় গ্রুপের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়।

এক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতেই এক কর্মীকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে শুরু করে। এতে ওই কর্মীর ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হয়। দলের কর্মীরা একে অপরকে চেয়ার ছুড়ে মারতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী মাইক্রোফোন নিয়ে নেতাকর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে কমিউনিটি সেন্টারের অভ্যন্তরের পরিস্থিতি শান্ত হয়।

তবে কমিউনিটি সেন্টারের বাইরে ও আশপাশের এলাকায় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া শুরু হয়। এতে অন্তত দুইজন কর্মী আহত হয়। পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ও দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে কিছুটা বিলম্বে কর্মী সম্মেলন শুরু হয়।

এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নূসরাত ইলাহি রিজভী বলেন, ‘কর্মীদের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে শান্তিপূর্ণভাবেই সমাবেশ শুরু হয়েছে।’

রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সমাবেশে নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে এটি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় রূপ নেয়। তবে আগে থেকেই পুলিশের একটি টিম অবস্থান করায় তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।’

 

 

আরপি/এসআর-০২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top