রাজশাহী শুক্রবার, ৬ই ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১


পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চান মির্জা ফখরুল


প্রকাশিত:
২০ আগস্ট ২০২২ ০৮:০৬

আপডেট:
২০ আগস্ট ২০২২ ০৮:৫৩

ফাইল ছবি

ভারতের ‘আনুকূল্যে’ সরকার টিকে আছে কি না- প্রশ্ন রেখে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ঢাকায় আওয়ামী লীগের মিছিল-সমাবেশ থেকে মন্ত্রীরা হুমকি দিয়েছেন, সন্ত্রাসী ভাষায় কথা বলেছেন। এতই যদি হুমকি-ধামকি দেন তাহলে আবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আপনাদের সরকারকে, প্রধানমন্ত্রীকে টিকিয়ে রাখার জন্য ভারতের সাহায্য দাবি করেন কেন? আমরা এই কথার (পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য) ব্যাখ্যা চাই।’

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জেএম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। দুই দেশেরই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। সেজন্য শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা অনুরোধ করেছি।’

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ঢাকায় আওয়ামী লীগের মিছিল-সমাবেশ থেকে মন্ত্রীরা হুমকি দিয়েছেন, সন্ত্রাসী ভাষায় কথা বলেছেন। এতই যদি হুমকি-ধামকি দেন তাহলে আবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আপনাদের সরকারকে, প্রধানমন্ত্রীকে টিকিয়ে রাখার জন্য ভারতের সাহায্য দাবি করেন কেন? আমরা এই কথার (পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য) ব্যাখ্যা চাই।’

‘এই সরকার এবং ভারত সরকারের কাছেও জানতে চাই, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথা বলেছেন তার অর্থ কী? তাতে কি এটা দাঁড়ায় এই সরকার টিকে আছে ভারতের আনুকূল্যে? একথার অর্থ মানুষ তো জানতেই চাইবে। এটা জরুরি কথা।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশ কি সত্যিকার অর্থে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র থাকবে কি থাকবে না। বাংলাদেশ কি সত্যিকার অর্থেই একটা গণতান্ত্রিক দেশ থাকবে কি থাকবে না। কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের সব অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়েছে, সংবিধানকে পরিবর্তন করেছে। মানুষের পাঁচ বছর পরপর একদিন ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করার যে সুযোগ ছিল, তাও হরণ করে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানকে বাতিল করে দিয়েছে।’

‘দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও অর্থনীতিকে ফোকলা করে দেওয়া হয়েছে’ অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার দুর্নীতিবাজদের সরকার। এই সরকার চোরের সরকার, ডাকাতের সরকার। এরা অবৈধ। রাতে অন্ধকারে নির্বাচন করেছে, জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে।’

ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এত চ্যালেঞ্জ করবেন না। ক্ষমতা ছাড়ুন। ক্ষমতা ছেড়ে রাস্তায় নামুন। দেখা যাবে এদেশে জনগণের শক্তি বেশি না আপনাদের মতো দুর্নীতিবাজদের শক্তি বেশি। অবশ্যই ক্ষমতা ছাড়তে হবে। ক্ষমতায় থেকে অনেক লম্বা লম্বা কথা বলা যায়। ক্ষমতা ছেড়ে আসুন, তখন বুঝা যাবে আপনার শক্তি কত? এদেশে কয়টা লোক পক্ষে আছে তখনই বুঝা যাবে।’

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভা হয়। সভা শুরুর আগে বিএনপি মহাসচিব মিলনায়তন প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, ফজলুল হক মিলন, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম সারোয়ার, সাদরেজ জামান, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ইয়াসীন আলী, এসএম জিলানী, ফখরুল ইসলাম রবিন প্রমুখ।

 

আরপি/ এমএএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top