রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র স্লোগানে দল গঠনের পেছনে কারা ছিলেন?


প্রকাশিত:
১৫ আগস্ট ২০২২ ০৬:৪৮

আপডেট:
১৫ আগস্ট ২০২২ ০৬:৫৬

সংগৃহিত

বঙ্গবন্ধু ক্ষমতা গ্রহণের এক বছরের মাথায় কী এমন ঘটলো, যে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র স্লোগান দিয়ে দল গঠন করার প্রয়োজন হলো। কারা ছিলেন পেছনে? কারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করলো -এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে ‘১৫ই আগস্ট জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ষড়যন্ত্র ও সহায়তাকারী জিয়াসহ অন্যদের খুঁজতে তদন্ত কমিশন চাই’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সুদীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রাপথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রজ্ঞা, মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতা, দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, মানুষকে মনে রাখার যে স্মরণশক্তি, তা কিংবদন্তীতুল্য। তিনি সারাজীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ভুলে গিয়ে বাঙালিকে তার হাজার বছরের স্বপ্ন স্বাধীন ভূখন্ড উপহার দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লিটন বলেন, পরাশক্তি বা বিদেশী শক্তি বাদ দিলে দেশের মধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টার মাইন্ড জিয়াউর রহমান। তার উচ্চাভিলাস একাত্তর সালে প্রমাণ হয়েছিল। যখন সে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে ঘোষণা দেওয়ার সময় নিজের নাম দিয়ে ঘোষণা দিয়ে ফেলেছিলেন। পরে তাকে বলা হলো, ‘এটা আপনি দিতে পারেন না। আপনাকে কে চিনে? আপনি বলেন আপনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে দিচ্ছেন।’ তখন তিনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

৭৫'র ১৫ আগস্টের বর্ণনা দিয়ে রাসিক মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন নিহত হয়ে সিড়ির উপর পড়ে আছেন। তখন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে জিয়াউর রহমান তার বাড়ির বাথরুমে ভোর সাড়ে ৪টা/৫টার দিকে লাইট জ্বালিয়ে শেভ করছেন। তৈরি হবেন, কারণ তাকে যেতে হবে, তার মিশন সম্পন্ন হয়েছে। এখন তাকে যেতে হবে পরবর্তী কার্যক্রমগুলো হাতে নেওয়ার জন্য।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নিয়ে কিছু দিনের জন্য খন্দকার মোস্তাককে রাষ্ট্রপতি করেছিলেন। জিয়াউর রহমানের নির্দেশে ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর উদ্ভট ইনডিমিনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। খুনীদের বিচার করা যাবে না-এমন বর্বর আইন সারা পৃথিবীতে হতে পারে না।

জিয়াউর রহমানের নির্দেশে ইনডিমিনিটি অধ্যাদেশ জারি হলো, যা ১৯৭৯ সালে আইনে পরিণত করা হয়। সেই আইন দীর্ঘদিন এরশাদ পাল্টাননি, খালেদা জিয়াও পাল্টাননি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভারতের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য পবিত্র সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান, পরিবেশ বিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, কথাসাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন। 

আরপি/ এসএইচ ১২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top