রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা দিয়েছে: মেয়র লিটন


প্রকাশিত:
১৯ মে ২০২২ ০৯:৫৪

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৪:৫৩

ছবি: ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা দিয়েছে। দেশের মানুষের জন্য আওয়ামী লীগের মতো দরদী কেউ হতে পারে না।

বুধবার (১৮ মে) বিকেলে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র লিটন বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে মানিক মিয়া এভিনিউতে বলেছিলেন, ‘আমি বাবা হারিয়ে, মা হারিয়ে, ভাই হারিয়ে, সব হারিয়ে বাংলাদেশে এসেছি। বাংলার মানুষের কল্যান করার জন্য পিতার মতো যদি জীবন দিতে হয়, তবুও বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফুটাবো।’ আজকে সত্যি সত্যি শেখ হাসিনা বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন।

শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন উল্লেখ করে বলেন, পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রেও গৃহহীনদের জন্য বাড়ি করে দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনদের জমিসহ গৃহ নির্মাণ করে দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। দিন-রাতে মাত্র ৪/৫ঘন্টা ঘুমিয়ে তিনি ১৮ কোটি মানুষের ১৮ কোটি সমস্যা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

শ্রীলঙ্কা প্রসঙ্গে মেয়র লিটন বলেন, তারা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি করেছে। সীমাহীন, বেহিসেবী ব্যয়, যা শেখ হাসিনার বাংলাদেশের সাথে মেলালে হবে না। আমাদের নেত্রী প্রয়োজন ছাড়া একটি টাকাও কারো কাছে নেন না। তিনি জনগণকে দায়গ্রস্ত করতে চান না।

পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে রাসিক মেয়র বলেন, খালেদা জিয়া বিশ্ব ব্যাংককে পদ্মা সেতুর জন্য ঋণ না দিতে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি গেলে সেতু ভেঙে পড়ে যাবে।’ তাই আমি অনুরোধ করি খালেদা জিয়াসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা যেন পদ্মা সেতু দিয়ে পারাপার না হয়। তারা যেন স্টিমার দিয়ে, লঞ্চ দিয়ে, ফেরী দিয়ে নদী পার হয়।

তিনি আরও বলেন, আমার পিতা জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জমান স্বাধীনতার পর মন্ত্রী হিসেবে গোড়াগাড়ীর উন্নয়নে কাজ করেছেন। রাজশাহী অঞ্চলে প্রায় শতাধিক স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বেঁচে থাকলে গোদাগাড়ীতে ডেইরি ফার্ম প্রতিষ্ঠা হতো। দুধ উৎপাদন করে এখানকার মানুষ সাবলম্বী হতে পারতেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশীদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান ও আব্দুল আওয়াল শামীম, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারা, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আঞ্জুম মিতা, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ এসএম একরামুল হক।

সম্মেলনের ১ম অধিবেশনে গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি পদে অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুর রশীদ নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় অধিবেশনে নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top