রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


‘নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী সংসদ নির্বাচন হবে’


প্রকাশিত:
১১ মে ২০২২ ০৩:১৯

আপডেট:
১১ মে ২০২২ ০৩:২০

ছবি: বৈঠক

সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী সংসদ নির্বাচন হবে। তাই দর কষাকষি করে কোনো লাভ হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১০ মে) বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে দলের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের বৈঠকের আগে বিএনপির উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপিকে বলব, দর কষাকষি করেন না। কোনো লাভ নেই, দর কষাকষিতে। দর কষাকষিতে সরকার সংবিধান থেকে লড়বে না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, ঠিক সেভাবেই সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে।'

বিএনপিকে ভোটের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিএনপি যেসব কথা বলছে, দর কষাকষির জন্য বলছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের আর কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনে যদি জনগণ আপনাদের ভোট দেন, নির্বাচিত করলে আমরা যদি হেরেও যাই, তারপরও নির্বাচন কমিশনের এই নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে সবসময়। জনগণকে আস্থায় নিয়ে ফ্রি-ফেয়ার, ক্রেডিবল নির্বাচন আমরা করব। জনগণের ইচ্ছায় ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। বিএনপিকে আমরা বলব, এদিক সেদিন দর কষাকষি না করে, নির্বাচনে আসুন।'

বিএনপির নির্বাচনে আসার বিকল্প নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপির নেতারা ভাল করেই জানেন, দলের অস্তিত্ব রক্ষায় তাদের আসতেই হবে৷ তাদের হাতে কোনো বিকল্প নেই।'

সরকার ৩০০ আসনেই ইভিএমে ভোট চায় জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, 'আওয়ামী লীগ দলগতভাবে ৩০০ আসনে ইভিএম চায়। নির্বাচন কমিশন তার সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে৷ তারা যদি না পারে, সেটা ভিন্ন কথা।'

আগামী সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে কাদের বলেন, 'সরকারের পদত্যাগ নয়, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার কমিশনকে সহায়তা করবে। নির্বাচনে সরকারের কোনো কর্তৃত্ব থাকবে না। কর্তৃত্ব থাকবে নির্বাচন কমিশনের। সরকারের যেসব ডিপার্টমেন্ট নির্বাচনের বিষয়টা ডিল করবে সবকিছুই তখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যাবে৷ সরকারের নির্দেশনায় তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও চলবে না। তারাও নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে৷'

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, 'ফখরুল সাহেব বলেছেন, ইভিএম তো পরের ব্যাপার, আগে পদত্যাগ। নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর। তারপর নির্বাচন।' ফখরুলের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, 'ইভিএম পরের ব্যাপার কেন? আপত্তি কোথায়? পৃথিবীর বহু দেশে ইভিএমে নির্বাচন হচ্ছে। আপনারা কি নির্বাচনে কারচুপি করতে চান? কারচুপি, জালিয়াতি এড়ানোর জন্যই ইভিএম ব্যবস্থা হচ্ছে। এছাড়া আধুনিক আর কোনো পদ্ধতি নেই, নির্বাচনে কারচুপি-জালিয়াতি ঠেকানোর।

এখানে আপত্তি কেন থাকবে? পদত্যাগ কেন করতে হবে? কি কারণে, আমরা কি অন্যায় করলাম? আমরা বলতে চাই জনগণের কথা। দেশের মানুষ ১৩ বছর বিএনপি ও তাদের জোটের হাঁকডাক শুনেছে। কিন্তু পানি ঘোলা করে অবশেষে তারা ডায়লোগও এসেছেন প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে। নির্বাচনেও অংশ নিয়েছেন। এবারও সেই একই কথা নতুন করে বলছেন।

 

 

আরপি/এসআর-১১



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top