রাজশাহী শুক্রবার, ৬ই ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১


‘সীমান্তে হত্যা ভারতের জন্য লজ্জাজনক’


প্রকাশিত:
২১ নভেম্বর ২০২১ ০৩:৪৫

আপডেট:
৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৫৪

ছবি: দোয়া ও মোনাজাত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশ সরকার চায় না সীমান্তে লোক মারা যাক। এ নিয়ে দুই দেশের সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ও বৈঠক হয়েছে। এত কিছু হওয়ার পরও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটছে। যা বাংলাদেশের জন্য দুঃখজনক ও ভারতের জন্য লজ্জাজনক।

শনিবার সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সীমান্তে হত্যা প্রসঙ্গে আব্দুল মোমেন বলেন, এটা খুব দুঃখজনক যে ভারত সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করেছেন সরকারিভাবে আলাপ করেছেন এবং তারা অঙ্গীকার করেছেন যে সীমান্তে আর একটি লোকও মারা যাবে না। ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকার উভয় সরকার সীমান্তে একটি লোকও মারা যাচ্ছে, তা কেউই চায় না। বিভিন্ন পর্যায়ে মন্ত্রী পর্যায়ে কিংবা আমাদের বিজিবি পর্যায়ে আলাপ হয়েছে কেউ যাতে না মরে।

তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক কাহিনী আর ভারতের জন্যও। ভারত সরকারের এতসব বলার পরও তারা মারে তাদের জন্যও লজ্জার বিষয়। তবে খুশির খবর হচ্ছে সম্প্রতি পঞ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ, বুদ্ধিজীবী, সংবাদিক, চলচ্চিত্র এই সবের বিভিন্ন লোকজন একটা দাবি তুলেছে আমরা কেউ সীমান্তে মৃত্যু চাই না।

রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সব দেশ একবাক্যে স্বীকার করেছে যে, রোহিঙ্গারা যেন তাদের দেশে ফেরত যায়। সারা পৃথিবীর সব দেশ, এতদিন ধরে আমরা যেটা প্রচেষ্টা চালিয়েছিলাম, জাতিসংঘে সব দেশ সর্বসম্মতিক্রমে রেজুলেশন পাশ করেছে। এর ফলে আমরা বিশ্বাস করি মিয়ানমারের ওপর আরও চাপ পড়বে তাদের লোকগুলো ফেরত নেওয়ার জন্য।

ড. মোমেন বলেন, আশা করা যায় আগামীতে মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফেরত নেবে। কারণ মিয়ানমার কখনও বলে নাই যে, তারা তাদের নাগরিকদের ফেরত নেবে না।

তিনি বলেন, তারা আমাদের সঙ্গে এগ্রিমেন্ট করেছে যে, তারা তাদের লোকদের নিয়ে যাবে এবং তারা যাতে স্বেচ্ছায় যায় সেজন্য পরিবেশ সৃষ্টি করবে। আমরা আশা করি আগামীতে তারা তাদের কথা রাখবে।

রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, একবার যাওয়া শুরু হলে তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। কারণ ১৯৯২ সালের দিকে ২ লাখ ৫৩ হাজার আসে ছিল, যখন যাওয়া শুরু হয় তখন অল্প কিছু দিনের মধ্যে ২ লাখ ৩৬ হাজার চলে গেল। যখন শুরু হয় যাওয়ার তখন বেশ ভালো যাওয়া হয়। তাই আমরা আশায় আছি একবার যাওয়া শুরু হলে আস্তে আস্তে যাবে।

টুঙ্গিপাড়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। এসময় তারা ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন। এসময় স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

আরপি/এসআর-০৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top