রাজশাহী বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


বিকেলে বসছে আ.লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা


প্রকাশিত:
১৯ নভেম্বর ২০২১ ২২:৫৭

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৩১

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হবে আজ। বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ওই সভা হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈশ্বিক মহামারির সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহীর কমিটির আমন্ত্রিত সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

সভায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে যাদের শোকজ করা হয়েছিল, তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দলটি। পাশাপাশি বৈঠকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও খুনাখুনি নিয়ন্ত্রণসহ দলের সাংগঠনিক কাজের গতি বাড়ানো, দিবসভিত্তিক কর্মসূচি চূড়ান্ত, আর্থসামাজিক ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হবে।

আগামী বছর দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলন এবং ২০২৩ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলন, তৃণমূলে বিভক্তির রাজনীতি দূরীকরণ, এমপি-মন্ত্রীদের বলয় ভাঙাসহ সাংগঠনিক নির্দেশনা দিতে পারেন সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র জানায়, আজকের সভার এজেন্ডায় ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস, ১০ জানুয়ারি জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ দিবস, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি চূড়ান্ত করার বিষয় রাখা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভার আলোচ্য বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার এক প্রশ্নের জবাবে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে এবং চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের বিষয়েও আলোচনা হবে।

তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারা বিদ্রোহ করছে এবং বিদ্রোহীদের মদদ দিচ্ছে, তাদের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক। ওই বৈঠকে নিজ নিজ বিভাগের সাংগঠনিক রিপোর্ট তুলে ধরেন দলটির বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। ওই প্রতিবেদনের তথ্য-উপাত্তে উঠে আসে তৃণমূলের আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, দ্বন্দ্ব, নেতায় নেতায় বিভক্তি, এমপি-মন্ত্রীদের বলয়ভিত্তিক রাজনীতি, ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন ও জামায়াত-বিএনপির নেতাদের কমিটিতে স্থান দেওয়ার অভিযোগ।

 

 

 

আরপি/এসআর-০৮



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top