রাজশাহী সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১


খালেদার জন্য এতো মায়াকান্না কেন?


প্রকাশিত:
৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:১৫

আপডেট:
৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:১৯

ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়া ছিলেন খুনি। খুনির স্ত্রী খুনি। তার ছেলেও তাই। খালেদা জিয়ার জন্য এতো মায়াকান্না কেন? 

তিনি বলেন, এরা ক্ষমতায় থাকতে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। খালেদা জিয়া শত শত জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছেন। প্রতিহিংসা থেকে মানুষকে অপমান করেছেন। উনি এতো অন্যায় করেছেন যে আল্লাহও সহ্য করছেন না। তার জন্য এতো মায়াকান্না কেন?

রোববার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

খালেদা জিয়ার অপকর্মের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। তিনি অসুস্থ হয়ে সিএমএইচে চিকিৎসা নিতে গেলে তাকে সেখানে চিকিৎসা নিতে দেননি খালেদা জিয়া। একজন সাবেক সেনাপ্রধানকে তিনি অপমান করে বের করে দিয়েছেন। ক্ষমতায় থাকাকালে সেনা মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করেছেন। অনেককে বছরের পর বছর প্রমোশন থেকে বঞ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, যারা তাদের পছন্দের অফিসার ছিল তাদের অন্যায়ভাবে সুবিধা দিয়েছেন। যারা অপছন্দের তাদের বঞ্চিত করেছেন। ২০০১ সালে ক্ষমতায় গিয়ে যে সব অপকর্ম করেছেন তারই ফসল ছিল ২০০৭ সালে ইমার্জেন্সি সরকার।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়ার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে খালেদা জিয়াও খুন এবং আগুন দিয়ে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর শত শত বাড়িঘরে আগুন দিয়ে পুড়ে দিয়েছে। ফাহিমা ও পূর্ণিমার মতো হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছে। খালেদার জন্য আজ যারা মায়াকান্না করেন তখন তারা কোথায় ছিলেন?

সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, কেন্দ্রীয় নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শিক্ষাবিদ আনিসুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top