নওগাঁয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
নওগাঁর মান্দা উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হানিফ উদ্দিন মন্ডলের বিরুদ্ধে প্রায় কোটি টাকার নিয়োগ বানিজ্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। তিনি স্থানীয় সতীহাট কেটি হাইস্কুল ও কলেজের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্য,সরকারি জমি দখল করে নিজের অফিস ও মার্কেট নির্মান করে ভাড়া দেয়ার অভিযোগ রয়েছে । মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসিক লাখ টাকা চাঁদা নেয়া, হাটে অতিরিক্ত টোল আদায় থেকে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ইউপি আ'লীগ উপজেলা আ'লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি অভিযোগপত্র দায়ের করে। অভিযোগের অনুলিপি জেলা এবং উপজেলা আ'লীগের সম্মেলনের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ বরাবর পাঠানো হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি হওয়ার পূর্বে হানিফ উদ্দিন মন্ডল কখনো আ’লীগ করতেন না এবং সহযোগী সংগঠনের কোন পদেই ছিলেন না। তিনি দলে অনুপ্রবেশকারী। তার পিতা ছিল একজন রাজাকার। তার বড় ভাই খোদাবক্স জামায়াতের রুকন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার পিতা খয়ের আলীকে মুক্তিযোদ্ধারা ব্রাসফায়ার করে মেরেছে।
গনেশপুর ইউনিয়ন আ’লীগ ও যুবলীগের একাধিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা যায়, জামায়াতের রুকন আবদুল জলিল শেখের ছেলে এবং মীরপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন হেলালকে সম্প্রতি তিনি ২৩ লাখ টাকার বিনিময়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। হেলাল বিএনপি, জামায়াত এবং মামলার সাথে জড়িত ছিলেন। এছাড়াও, সভাপতির দায়িত্বে থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়েছেন লুৎফর রহমান এবং অফিস সহকারী পদে ১২লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন পরাণপুর ইউনিয়নের বেলাল হোসেনকে।
মৈনম ইউনিয়ন আ'লীগ নেতা বয়েন উদ্দিনের কাছ থেকে সতীহাটের ঘর বাবদ ৮০ হাজার টাকা এবং সরকারি জমি দখল করে নিজের অফিস ও মার্কেট নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন। তিনি সতীহাটে সরকারি জায়গায় বিভিন্ন দোকান ঘর নির্মানে সহযোগীতা করে প্রতিটি দোকান ঘর থেকে মোটা অংকের টাকা চাঁদা হিসেবে নিয়ে থাকেন। সাতবাড়ীয়া বাজারে দুটি মার্কেট দখলে ৩০ লক্ষ টাকা আদায় করারও অভিযোগ আছে হানিফের বিরুদ্ধে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে কাবিখা প্রকল্পে দূর্নীতি, জনপ্রতি ৩হাজার টাকার বিনিময়ে বয়স্ক-বিধবা-প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়া এবং ৪০ দিনের সৃজনশীল কর্মসূচী ও এলজিএসপির টাকা আত্বসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগের বিষয়ে আলহাজ্ব হানিফ উদ্দিন মন্ডল মুঠোফোনে বলেন, আমার কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দাদাও রাজাকার ছিলেন। আর যারা আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছে তারাই চাঁদাবাজীর সাথে জড়িত। তিনি বলেন, আগামী ৩১ তারিখে ইউনিয়ন আ’লীগের সম্মেলন আছে, এই সম্মেলনে আমি যাতে আর সভাপতি হতে না পারি সে জন্য একটি গ্রুপ উঠেপড়ে লেগেছে।
আরপি/আআ
বিষয়: চাঁদাবাজি চেয়ারম্যান নওগাঁ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: