রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


পাবনা

একই দিনে একই স্থানে দুই পক্ষের শিবগঙ্গা স্নান কর্মসূচি: উত্তেজনার আশংকা


প্রকাশিত:
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:১৯

আপডেট:
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:২৩

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের মন্দির

পাবনার হেমায়েতপুর শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের শিবগঙ্গা স্নান উৎসব পালনকে ঘিরে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার আশ্রমের নিজস্ব পুকুরে শিবগঙ্গা স্নান উৎসবের আয়োজন করেছে আশ্রম কর্তৃপক্ষ। একই দিনে টাঙ্গাইলের পাকুটিয়ার ‘বাংলাদেশ সৎসঙ্গ’ নামে ঠাকুর অনুসারীদের আরেকটি সংঘ পৃথকভাবে একই স্থানে একই কর্মসূচি দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিরোধে জড়িত এই দুই গ্রুপের উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে আনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আশঙ্কা করছেন ভক্তরা।

এদিকে শিবগঙ্গা স্নানের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন হেমাইতপুরের শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ কর্তৃপক্ষ।

আশ্রম কর্তৃপক্ষ জানায়, ৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর তিনদিনব্যাপী ঠাকুরের আবির্ভাব তিথি মহোৎসব সম্পন্ন হয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে অর্ধলক্ষাধিক ঠাকুর অনুসারী যোগ দেন মহোৎসবে। দীর্ঘদিন ধরেই ভক্ত অনুসারীদের মহোৎসবে নিয়ে আসা বাস পাবনা মানসিক হাসপাতালের ভেতরে নিরাপদ স্থানে রাখার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু এবার এসব বাস সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ফলে কাশিপুর থেকে হেমায়েতপুর আঞ্চলিক সড়কের দুই পাশে বাসগুলো রাখার কারণে যানজট ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি তারা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ছিলেন। তবে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের পাকুড়িয়ার ‘বাংলাদেশ সৎসঙ্গ’ নামের ওই সংগঠনকে পাবনা মানসিক হাসপাতালের ভেতরে উৎসব কর্মসূচি পালন ও গাড়ি পার্কিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মানসিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই আচরণে ঠাকুরের ভক্ত অনুসারীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে বলেও তারা উল্লেখ করেন।

আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার রায় বলেন,  ‘ঠাকুরের জন্মভূমি এই আশ্রমের পুকুরে প্রতিবারের মতো এবারও স্নান উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। অথচ আশ্রমের বিবাদমান গ্রুপ হিমাইতপুর শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র আশ্রম কর্তৃপক্ষের কাছে শিবগঙ্গায় স্নানের কোনও অনুমতি না নিয়েই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যা বিশৃঙ্খলা তৈরির পরিকল্পিত নীলনকশা বলে মনে করছি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।’

এ বিষয়ে পাবনা মানসিক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

এদিকে বাংলাদেশ সৎসঙ্গের পাবনা প্রতিনিধি তপন কুমার সরকার হরি জানান, ‘১৫-১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সৎসঙ্গের পক্ষ থেকে ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষে নানা আয়োজন রয়েছে। প্রথমদিনে পাবনা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। পরদিন পাবনা মানসিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে হাসপাতাল অভ্যন্তরে ঠাকুরের জন্মস্থানে জন্মতিথি ঘোষণা করা হবে। পরে আশ্রমের পাশেই সম্বলপুর ঘাটে স্নান উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।’ 

পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উভয়গ্রুপ যাতে তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারেন সে সহযোগিতা থাকবে। যে কোনও ধরণের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।’

 

আরপি/এসআর

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top