রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


স্বপ্নে বিয়ের নির্দেশনা পেল কথিত `পীর‘ অতপর--


প্রকাশিত:
২১ নভেম্বর ২০২০ ০৩:০৮

আপডেট:
২১ নভেম্বর ২০২০ ০৩:০৮

স্বপ্নযোগে বিয়ের নির্দেশনা পেয়ে ৬৩ বছর বয়সী জামশেদ আলম ওরফে ‘ফুল হুজুর’ নামের ফেনীর সোনাগাজীর কথিত এক ‘পীর’ স্নাতক পড়ুয়া ২৩ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন ।

উভয় পরিবারের সম্মতিতে ১০ লাখ টাকা কাবিনে ঢাকার আদালত এলাকায় ফুল হুজুর তরিকার প্রধান দরবারে বড় আয়োজনে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সোনাগাজীতে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়িটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা। বিয়ের পর নবদম্পতি ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

ওই ছাত্রীর বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকায়। ফুল হুজুর বিশ্ব সুন্নি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম হায়াতের অনুসারী।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ তিন যুগেরও অধিক সময় ধরে সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের মৃত খুরশিদ আলমের ছেলে জামশেদ আলম ফতেহপুরী ওরফে ফুল হুজুর তার বাড়ির দরজায় একটি দরবার শরীফ খুলে বিভিন্ন ঝাড়ফুঁকের তদ্বির করে আসছেন। এ সুবাদে স্থানীয় নারী-পুরুষসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষের সঙ্গে তার পীর-মুরিদ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

পাঁচ ভাই চার বোনের মধ্যে শুধু ফুল হুজুর ও তার দুই বোন জীবিত রয়েছেন। তার দরবারের পাশাপাশি ২০০৪ সাল থেকে তার নামের ওপর একটি নূরানি মাদ্রাসাও পরিচালনা করে আসছেন। প্রতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি বড় আয়োজনে বার্ষিক ওরসও পালন করা হয় তার দরবার শরীফে। বার্ষিক ওরসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তার ভক্ত-আশেকানদের আগমন ঘটে।

তার অর্থায়নে পরিচালিত নূরানি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম জানান, ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে ফুল হুজুরের সম্পর্কের কারণে সে হুজুরকে বিয়ে করতে অনুপ্রাণিত হয়। এছাড়া হুজুরের ভক্ত-আশেকানদেরও বিয়ের জন্য চাপ ছিল। হুজুর স্বপ্নের মাধ্যমে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার নির্দেশনা পেয়েছেন। তার বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার জন্যও বিয়ে করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

তিনি জানান, ওই ছাত্রী ফেনী জিয়া মহিলা কলেজে অনার্সে অধ্যয়নরত রয়েছে। হুজুরের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সে স্বেচ্ছায় পরিবারের অভিভাবকদের সম্মতিতে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে।

ছাত্রীর নানা নুর করিম জানান, তার নাতনি ও তার পরিবারের সদস্যরা ফুল হুজুরের মুরিদ। হুজুরের সঙ্গে নাতনির বিয়ে দিতে পেরে আমরা খুশি। এতে রাষ্ট্রীয় অথবা ধর্মীয় আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।

 

 

আরপি/ এমআই 


বিষয়: পীর বিয়ে


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top