রাজশাহী শনিবার, ১৫ই মার্চ ২০২৫, ২রা চৈত্র ১৪৩১


মোহনপুরে টিসিবির পণ্য ক্রয়ে নেই নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব


প্রকাশিত:
৯ এপ্রিল ২০২০ ২০:৪৩

আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ১২:৪৭

মোহনপুরে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে টিসিবির পণ্য কিনতে মানুষের ভিড়
 
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জনসাধারণকে ঘরে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আর জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেও নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু টিসিবির পণ‌্য কিনতে গিয়ে তা কোনোভাবেই মানছেন না লোকজন।
 
বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা পরিষদ যুব উন্নয়ন অফিসের সামনে ভোর থেকে জড়ো হতে থাকে শত শত মহিলা ও পুরুষ। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হয়।  আর ট্রাক থেকে কমমূল‌্যে তেল, ডাল ও চিনি কিনছেন ক্রেতারা।
 
এ সময় দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস‌্যরা লোকজনকে বারবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে। কিন্তু তাতে কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। লাইনে দাঁড়িয়ে তারা গল্প, হাসাহাসিতেও মেতে ওঠেন। অনেকের মুখে নেই মাস্ক।
 
টিসিবির পণ্য কিনতে মানুষের ভিড়
 
উপজেলার যুব উন্নয়ন অফিসের দেখা যায়, টিসিবি পণ্যের পাশে দাঁড়িয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস‌্য ক্রেতাদের দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ করছেন। তিনি সবার উদ্দেশে বলছেন, আপনারা দূরত্ব বজায় রাখুন। করোনা এমন একটি রোগ, যা আপনার মাধ্যমে পুরো পরিবারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পুরো পরিবার শেষ হয়ে যেতে পারে আপনার কারণে। কাজেই পরিবারের কথা চিন্তা করে হলেও আপনারা সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।
 
টিসিবির পণ্য বিক্রেতা মোহনপুরের ডিলার আবুল হোসেন বলেন,বার বার তাদের দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে বলছি। তারা আমাদের কথা পাত্তাই দিচ্ছেন না। এক জন আরেকজনেন গায়ে ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছেন। আমরা আর কি করতে পারি?
 
শত শত নারী পুরুষের জনসমাগমরোধে ২ জন পুলিশ সদস্য পরিস্থিতি সামাল দিতে যখন ব্যর্থ, তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ বিন কাশেম, তদন্ত ওসি খালেদুর রহমান, এসআই মাহাবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স। তারা সবাইকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে মাইকে বারবার অনুরোধ জানিয়ে জায়গটি ফাঁকা করতে বললেও কেউ শুনছেন না। 
 
ধুরইল গ্রাম থেকে টিসিবির পন্য নিতে আসা ষাটোর্ধ বিধবা মহিলা ফিকি বেগম বলেন, আমি সকাল ৯ টায় উপজেলায় এসেছি। এখন বেলা সাড়ে ১১ টা বাজে। এখন পর্যন্ত ডিলার পণ্য বিক্রয় শুরু করেনি। আমার মত উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত হতে এই পন্য কিনতে এসেছেন অনেকই তাই এতো ভিড়। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ১ দিন করে এই পন্য বিক্রয় করা হতো তাহলে এতো ভীড় হতোনা।
 
উল্লেখ্য, নির্ধারিত ডিলারের মাধ্যমে খোলাবাজারে প্রতি লিটার সোয়াবিন তেল ৮০ টাকা, ৫০ টাকা দরে ডাল ও চিনি এবং কমমূল্যে অন্যান্য পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি।
 
 
আরপি/ এএন


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top