রাজশাহী মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১


পদ্মাপাড় বর্জ্যমুক্ত করতে তরুণদের ধারাবাহিক অভিযান


প্রকাশিত:
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:৫১

আপডেট:
২৩ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:০৪

পদ্মাপাড় বর্জ্যমুক্ত করতে অভিযানে নেমেছে তরুণরা

রাজশাহীর পদ্মাপাড়কে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্যমুক্ত করতে মাঠে নেমেছে রাজশাহীর শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী তরুণ। পদ্মা নদীকে দুষণমুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে গণসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাসব্যাপী ‘শহর আমার, দায়িত্ব আমার’ শীর্ষক গণসচেতনতা প্রচারাভিযান চালাবে তারা।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ এ্যকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ (ইয়্যাস) ও উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বারসিক’ যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করছে। শুক্রবার বরেন্দ্র অঞ্চলের ‘জীবন্ত সত্তা’ পদ্মা নদী রক্ষায় প্রচারাভিযানের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। ‘প্লাস্টিক ও বর্জ্য মুক্ত পরিচ্ছন্ন পদ্মাপাড়, জীবন্ত নদী তারুণ্যের অঙ্গীকার’ স্লোগানে এ অভিযান চলবে মাসব্যাপী।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করেন রাজশাহীর প্রবীণ সাংবাদিক ও ন্যাপ রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান খান আলম।

উদ্বোধনী দিনে রাজশাহীর পাঠানপাড়া সংলগ্ন পদ্মাপাড় এলাকা বর্জ্যমুক্ত করা হয়েছে। ইয়্যাস, স্বেচ্ছাসেবী ও সম্মিলিতি স্বেচ্ছাসেবী ফোরাম রাজশাহীর স্বেচ্ছাসেবীসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী তরুণ এতে অংশগ্রহণ করেন।

প্রচারাভিযানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, এলিজ্যাবল ইয়ুথ ফর ইভোলিউশন (আই) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গোলাম নবী রনি প্রমূখ।

ইয়্যাস সভাপতি শামীউল আলীম শাওনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম আকাশের পরিচালনায় মূল ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ইয়্যাস কোষাধ্যক্ষ আতিকুর রহমান আতিক।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নদী তীরে ময়লা আবর্জনা ফেলায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নদীর প্রবাহ। নদীতে ফেলা হচ্ছে চিপসের প্যাকেট, বিস্কুটের প্যাকেট, কোমল পানীয় বোতল আর ক্যান, প্লাস্টিক ও পলিথিনজাত সহ সব ধরনের বর্জ্য। পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিকের বর্জ্য অন্যতম প্রতিবন্ধক হিসেবে পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে নানামাত্রিক হুমকির মুখে ফেলে। কারণ, প্লাস্টিক পচনযোগ্য নয়। প্লাস্টিকের বর্জ্যে প্রকৃতির ভারসাম্যের ওপর যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয় সেখান থেকে পরিবেশকে নিরাপদ রাখতে এমন অপচনশীল দ্রব্যকে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করতে পারলে দূষণ ঠেকানো সহজ হবে।

প্লাস্টিক ও পলিথিনের উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ করতে পারলে খুব বেশী ভালো হবে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, প্লাস্টিক ও পলিথিন মাটির উর্বরতা নষ্ট করে। নদী আর সমুদ্রে ফেলে দেয়া এসব অব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিনজাত পণ্য পানির স্বচ্ছতা, নাব্য এবং সুপেয় তরল পানিকে দূষণ পর্যায়ে নিয়ে যায়। তাই আমাদের সকলকে প্লাস্টিক ও পলিথিনসহ সকল প্রকার অপচনশীল দ্রব্য ব্যবহারে সচেতন হতে হবে।

একই সাথে সকলকে প্লাস্টিক ও পলিথিনসহ সকল প্রকার অপচনশীল দ্রব্য পদ্মা পাড়ে নদীতে বা অন্য কোনও উন্মুক্ত স্থানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থান (ডাস্টবিন) এ ফেলার জন্য আহবান জানান তারা।

প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। এতে সংগীত পরিবেশন করেন, রাজশাহীর তরুণ সঙ্গীতশিল্পী ইসতিয়াক ও তার দল। এছাড়াও নৃত্য পরিবেশন করেন খুদে নৃত্য শিল্পী সোনিয়া ও মিম, তরুণ নৃত্য শিল্পী ও কোরিওগ্রাফার রবিন শেখ।

আরপি/ এএন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top