রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১


কক্সবাজার

গ্যাং কালচার-ইভটিজিংয়ে আটক ১৮


প্রকাশিত:
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২৩:০৪

আপডেট:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৯:৫৫

ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারে গ্যাং কালচার ও ইভটিজিং প্রতিরোধে ডিবি পুলিশের অভিযানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার বিকাল পর্যন্ত শহরের সরকারি বালিকা স্কুল, বায়তুশ শরফ জাব্বারিয়া স্কুল ও সরকারি মহিলা কলেজের সামনে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শহর এলাকাকে গ্যাং কালচার ও ইভটিজিংমুক্ত রাখতে পুলিশ এ অভিযান ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাবে। এজন্য প্রতিটি অভিভাবককে নিজের সন্তানের খোঁজখবর রাখতে আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।

জানা যায়, সম্প্রতি কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় এবং স্কুল-কলেজের সামনে গ্যাং কালচার ও রোমিও বখাটেদের বেপরোয়া উৎপাত বেড়ে যায়। যে কারণে অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করেন।

পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, বিপিএম শহরের বিভিন্ন এলাকার স্কুল-কলেজের সামনে অবস্থান নেয়া গ্যাং কালচার ও বখাটেদের সায়েস্তা করতে ডিবি পুলিশকে মাঠে নামায়। শনিবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টার অভিযানে আটক হয় ১৮ জন।

আটককৃতরা হলো- আশরাফ (২০), সাদ্দাম হোসেন (২৪), মো. ইব্রাহিম (১৮), আহমেদ আরেফিন (১৮), মিজানুর রহমান (২২), শাহাজাহান (২৮), কায়সার মুল্লা (৩৩), মোহাম্মদ ওমর ফারুক (১৮), আরাফাত হোসেন(১৮), মো. ইদ্রিস (২২), নুরুল ইসলাম(১৮), জানে আলম (২৪), মো. রিয়াদ (১৭), আবসার মিয়া (২০), ওবাইদুল হাসান (২০), রাসেল (১৮), শরীফুল ইসলাম (১৯) ও আরাফাত (১৯)। এদের পাশাপাশি আটক করা হয় একই এলাকা থেকে আব্বাস নামে এক পতিতা দালালকেও।

এদিকে এই সাঁড়াশি অভিযানে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ন কবীর ও ইন্সপেক্টর মানস বড়ুয়াসহ দুটি ডিবি পুলিশের দল।

অভিযান পরিচালনাকারী অফিসার মানস বড়ুয়া জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শহর এলাকাকে গ্যাং কালচার ও ইভটিজিংমুক্ত রাখতে ডিবি পুলিশ এ অভিযান ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাবে। কোনো রোমিও বখাটের বিরুদ্ধে যদি সংশ্লিষ্ট অভিযোগের প্রমাণ মিলে তা হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে এসপি বলেন, প্রতিটি অভিভাবককে নিজের সন্তানের খোঁজখবর রাখতে হবে। স্কুল-কলেজের নামে সন্তানরা কোথায় যাচ্ছে, কী করছে তা অবশ্যই জানতে হবে। কারণ অপরাধ করে ধরা পড়লে কোনো অভিভাবকের ওজুহাত বা আহাজারি শোনা হবে না। সোজা জেলের ভাত খেয়ে আসতে হবে।

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top