রাজশাহী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১


৭ বছরে ঋণ বেড়ে ৪৯১০ থেকে ৯৭ হাজার কোটিতে


প্রকাশিত:
২৩ জুলাই ২০২২ ২০:১৬

আপডেট:
২৩ জুলাই ২০২২ ২০:২৮

ছবি: বণিক বার্তা

৭ বছরে বার্ষিক নিট বিদেশী ঋণ গ্রহণ বেড়েছে ৪৯১০ থেকে ৯৭ হাজার ৭৪০ কোটি টাকায়। এসময়ে অনেক বড় বড় প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের জন্য বিপুল পরিমাণ বিদেশী ঋণ নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে বেড়েছে এ ঋণ পরিশোধে ব্যয়কৃত অর্থের পরিমাণও।

আরো পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী আর নেই

বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বার্ষিক নিট বিদেশী ঋণ গ্রহণের (গৃহীত ঋণ থেকে পরিশোধ বাদ দিয়ে) পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) বাজেটে বার্ষিক নিট বিদেশী ঋণ গ্রহণের প্রাক্কলন রয়েছে ৯৭ হাজার ৭৪০ কোটি টাকার। গত অর্থবছরেও এর পরিমাণ ছিল ৬৮ হাজার ৪১০ কোটি।

আরো পড়ুন: বাজারে এসেছে ‘পাপবাজার’

বিদেশী ঋণ ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয় মেগা প্রকল্পগুলোয়। দেশে এখন এমন অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। প্রকল্পগুলো হাতে নেয়ায় প্রতি বছরই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে বিদেশী ঋণের পরিমাণও। বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয়, বহুপক্ষীয় ও দাতা সংস্থার ঋণ, সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট ও লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় এসব ঋণ বাড়ছে।

আরো পড়ুন: ইউক্রেনকে আরও ২৭ কোটি ডলার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নিট বিদেশী ঋণ গ্রহণের পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮-অর্থবছরে নেয়া হয় ২৫ হাজার ৬২০ কোটি ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬৮ হাজার ৪১০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এর পরিমাণ ধরা হয়েছে ৯৭ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। এ সময়ের ঋণ পরিশোধে ব্যয়কৃত অর্থের পরিমাণও বেড়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরেও বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৮০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর তা বেড়ে দাঁড়াবে ১৪ হাজার ৪৫০ কোটি টাকায়।

নিট বিদেশী ঋণের এ বড় উল্লম্ফনকে দেশের অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ভাষ্যমতে, ঋণ মাত্রা ছাড়ালে চাপ পড়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও বিনিময়হারের ওপর। বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগ চাহিদা বাড়ছে। এর সঙ্গে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদাও। বিপুল পরিমাণ বিদেশী ঋণের সুদসহ আসল পরিশোধ করতে গিয়ে ভবিষ্যতে এ চাহিদা মারাত্মক চাপে রূপ নেয়ার ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে।

বিষয়টির উদাহরণ টানতে গিয়ে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শ্রীলংকায় চলমান ইতিহাসের ভয়াবহতম অর্থনৈতিক সংকটের মূলেও রয়েছে বিপুল পরিমাণ বিদেশী ঋণ। চীন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে ঋণ নিয়েছে দেশটি। এসব ঋণের অর্থে বাস্তবায়ন হয়েছে একের পর এক মেগা প্রকল্প। এ ঋণ ও ঋণের সুদের বোঝা টানতে গিয়ে চাপ পড়েছে দেশটির রিজার্ভে। বিশ্বের অনেক দেশই কভিডের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারলেও শ্রীলংকা পারেনি। উল্টো বৈদেশিক মুদ্রাপ্রবাহ হারিয়ে ইতিহাসের ভয়াবহতম সংকটে পড়েছে দেশটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো. কাউসার আহাম্মদ বলেন, আমাদের প্রকল্প সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেশি। বিদেশী সহায়তার প্রতিশ্রুতি এখন প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের। এগুলো পাইপলাইনে আছে। এখন পর্যন্ত নিতেই পারিনি।

বাংলাদেশ এখন বিদেশী সাহায্যনির্ভর নয়। এখন আমরা ঋণ নিচ্ছি। আগে প্রকল্প ছিল ছোট আকারের। ঋণও ছিল কম। এখন প্রকল্প বড়। ফলে ঋণের আকারও বড়। ঋণ বাড়ার পাশাপাশি বিনিয়োগ যেমন বাড়বে আবার লভ্যাংশও বাড়বে।

দিন শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেশি হবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির সুবিধা যেন সবার কাছে পৌঁছায় সেটার ব্যবস্থাও সরকার নিচ্ছে। ঋণ যখন বেশি, তখন এর সুফলও বেশি। চলমান সব মেগা প্রকল্পের সুফলও অনেক বেশি। এটি খুব ভালো একটি দিক।

তবে এ বিষয়ে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সরকার এ বিষয়ে নিষ্ঠাবান। বর্তমানে সমস্যার মধ্যে পড়েছে এমন কোনো দেশের মতো অবস্থা বাংলাদেশের যেন না হয়, সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।

টাকার অংকে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ। রাশিয়ার অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে রাশিয়া। বাকি টাকার জোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে নির্মাণ হচ্ছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ৫১ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মীয়মাণ এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) ঋণের পরিমাণ ৪৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা।

চীনের ঋণে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত প্রায় ১৭০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণ ব্যয় ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীনের ঋণ ২১ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোয় সরাসরি রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে।

যানজট কমাতে ঢাকায় তৈরি হচ্ছে ছয়টি মেট্রোরেল লাইন। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রথম লাইনটি (এমআরটি লাইন-৬) তৈরিতে ঋণ দিচ্ছে জাইকা। লাইনটি নির্মাণে খরচ হচ্ছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা জাইকার ঋণ।

চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন ডুয়াল গেজ রেলপথ তৈরি করা হচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা এডিবির ঋণ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

জাইকার ঋণে যমুনা নদীতে বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে রেলওয়ের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে আলাদা সেতু। রেলসেতুটি তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকার ঋণ ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা।

টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার মহাসড়কটি ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেনসহ চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে এডিবির ঋণে। সড়কটি তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ১৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ১১ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা।

দেশে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকালে দেখা যাচ্ছে, প্রায়ই এগুলোর নির্মাণকাজ হচ্ছে ধীরগতিতে। এতে জনভোগান্তির পাশাপাশি বেড়ে যাচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যয়ও, যা বিদেশী ঋণের ওপর নির্ভরতাকে আরো বাড়িয়ে তুলছে।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য হলো, অর্থনীতি যত বড় হতে থাকবে ততই দক্ষতার প্রয়োজনও বাড়বে। এক্ষেত্রে সঠিক সময়ে বাস্তবায়নের পাশাপাশি সাশ্রয়ীভাবে প্রকল্প শেষ করাও গুরুত্বপূর্ণ। শ্রীলংকায়ও দেখা গিয়েছে, পাঁচ বছরের প্রকল্প সাত বছরেও শেষ হয়নি।

যদিও পঞ্চম বর্ষ থেকেই ঋণ পরিশোধ শুরু হয়ে গেছে। প্রকল্পগুলো যথাসময়ে শেষ করার পাশাপাশি অতিরিক্ত ব্যয় ও দুর্নীতির মতো বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই জরুরি।

এছাড়া ঋণ পরিশোধের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। শ্রীলংকায় দেখা গিয়েছে, ঋণের অর্থ পরিশোধের ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়নি। এতে ঋণ ও সুদের বোঝা দুটোই আরো ভারী হয়েছে। আবার যেসব প্রকল্প দেরিতে হলেও শেষ হয়েছে, সেগুলোয়ও অতিরিক্ত ব্যয় ও দুর্নীতির মতো ঘটনা ঘটেছে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি মনে করি, প্রকল্প সাশ্রয়ী করা, সময়মতো শেষ করা ও সুশাসনের সঙ্গে সম্পন্ন করা—তিনটি বিষয়ের অভাব থাকলে ঝুঁকি তৈরি হবে।

সাশ্রয়ীভাবে করতে না পারলে খরচ বেশি হবে, ফলে সেবার ব্যয়ও বাড়বে। আবার সময়মতো না করার ফলে ঋণ পরিশোধ ও প্রকল্পের অর্থনৈতিক সুফল—দুয়ের মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে সুশাসনের অভাবে বেশি হতে পারে ব্যয়ও।

তিনি বলেন, আমাদের ঋণ পরিশোধের রেকর্ড, সক্ষমতা এগুলো ভালো। আমাদের বিদেশী ঋণ ও জিডিপি অনুপাত এখনো কম, ১৩ শতাংশের মতো। আমাদের সাবধান ও সতর্ক থাকা দরকার। যেহেতু মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ ঘটেছে, ফলে সুদের পরিমাণও বাড়ছে।

বিষয়গুলোকে আমাদের অবশ্যই বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন। বর্তমানে শ্রীলংকার অবস্থা বাংলাদেশকে আরো অনেক কৌশলী ও সাবধানী হওয়ার বার্তা দেয়।

বৈদেশিক ঋণ নিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রাধিকার খাত ঠিক করতে না পারলে বা প্রকল্পের ব্যয় যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করতে না পারলে এসব অবকাঠামো থেকে ভবিষ্যতে আয়ও কমে যাবে।

দেশের রাজস্ব আহরণ ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এ ঘাটতি পূরণে বিদেশী ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ঋণের অর্থ পরিশোধে কোনো দুর্নাম না থাকায় আন্তর্জাতিক অর্থায়নকারীদের কাছেও ঋণগ্রহীতা হিসেবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাংলাদেশ ৪১৮ কোটি ডলার ঋণসহায়তা পেয়েছে, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৫ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা।

আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৩০০ কোটি ডলার বা ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পেয়েছিল সরকার। সে হিসেবে আগের অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় এবার একই সময়ে ১০ হাজার ৩০ কোটি টাকা বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বণিক বার্তাকে বলেন, বিদেশী ঋণ বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ মেগা প্রকল্প। রূপপুর প্রকল্পের মতো মেগা প্রকল্পগুলো অনেক ব্যয়বহুল। চলতি বছর রূপপুরের অর্থ পরিশোধও শুরু হবে। এতে ঋণ পরিশোধের পরিমাণও হঠাৎ করেই অনেক বেড়ে যাবে।

এতদিন পর্যন্ত আমরা কনসেশনাল লোন (ঋণগ্রহীতার জন্য সুবিধাজনক শর্তে দেয়া ঋণ) পেতাম। এগুলো পরিশোধে অনেক সময় পাওয়া যায়। কিন্তু এখন আমরা বাণিজ্যিক ঋণ নিচ্ছি, যেগুলো পাঁচ, সাত, ১০ বছরের মধ্যে শোধ করতে হবে।

এগুলোয় দরকষাকষিরও সুযোগ নেই। ফলে পরিশোধের পরিমাণও এখন দ্রুত বাড়বে। বিদেশী ঋণ বৃদ্ধির প্রভাব বলতে গেলেই এখন শ্রীলংকা খুবই প্রাসঙ্গিক। চলতি বছরই দেশটির ৭০০ কোটি ডলার পরিশোধের কথা রয়েছে।

আমাদের এখন দেখতে হবে আগামীতে আমাদের কত বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু সরকারের রাজস্ব তেমন বাড়ছে না। এটা দুশ্চিন্তার কারণ। আমাদের সতর্ক হতে হবে। প্রকল্প নেয়ার ক্ষেত্রে এখন আমাদের অগ্রাধিকার বিবেচনা করতে হবে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এডিবির কাছ থেকে সরকার সর্বোচ্চ ১৭২ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮২ কোটি ডলার ছাড় করেছে জাইকা। তৃতীয় স্থানে আছে চীন। দেশটি ছাড় করেছে ৪৩ কোটি ডলার।

এডিবি থেকে পাওয়া ঋণ দিয়ে দেশে টিকা কিনে আনা হয়েছে। জাইকার অর্থায়নে মেট্রোরেল, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান। চীনের অর্থায়নেও বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে এখন। এছাড়া বিশ্বব্যাংকের প্রচুর ঋণসহায়তা রয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ ভালো। তাছাড়া ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধে কোনো সমস্যা নেই।

তাই গত দুই অর্থবছরে বিভিন্ন দাতা সংস্থা বাংলাদেশকে ঋণ দেয়ায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এছাড়া দেশের উন্নয়নে বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।

একই সঙ্গে করোনার টিকা ক্রয়েও বিদেশী অর্থায়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তাই বিদেশী ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। তবে এখন যে পরিমাণ ঋণ দাঁড়িয়েছে, তাতে ভয়ের কোনো কারণ নেই।

তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা

 

আরপি/ এমএএইচ-০৫



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top