রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


রাণীনগরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাকা ঘর পাইয়ে দেয়ার নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ


প্রকাশিত:
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২২:১৭

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০০:৪৩

প্রতীকি ছবি

নওগাঁর রাণীনগরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাকা ঘর দেয়ার নামে এক হত দরিদ্রের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার খলিশাকুড়ি গ্রামের রাসেল ও তার বাবার বিরুদ্ধে। তিন বছরেও কোন ঘর না পাওয়ায় সুষ্ঠু সমাধান ও টাকা ফেরৎ পেতে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন একই গ্রামের ভুক্তভোগী নাছিমা বিবি।

অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, গত প্রায় তিন বছর আগে উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের খলিশাকুড়ি গ্রামের রাসেল ও তার বাবা একই গ্রামের হত দরিদ্র নাছিমা বিবির নিকট থেকে বিনা পয়সায় গৃহহীনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাকা ঘর দেয়ার কথা বলে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও ছবি নেয়। ছবি নেয়ার কিছু দিন পর ভুক্তভোগীকে জানায়, ঘর পাওয়ার লোকজন বেশি হয়েছে। তাই উপর মহলের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে টাকা লাগবে। এমন অযুহাতে নাছিমার নিকট থেকে প্রায় ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর দীর্ঘদিন গত হয়ে গেলেও ঘর দিতে পারেনি তারা। ফলে এর সুষ্ঠু সমাধান পেতে গ্রাম্য শালিশের আয়োজন করলেও অভিযুক্তরা শালিসে উপ¯ি’ত হয়নি। ফলে নিরুপায় হয়ে খলিশাকুড়ি গ্রামের দরিদ্র নাছিমা বিবি রবিবার বিকেলে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী নাছিমা বিবির ছেলে নয়ন বলেন, আমরা গ্রামের অত্যন্ত হত দরিদ্র মানুষ। আমাদের জায়গা জমি নেই। তাই রাসেল ও তার বাবার সরল কথায় হাঁস, মূরগী, গরু ছাগল বিক্রি করে ৬০ হাজার টাকা দিয়েছি। এরপর থেকে ঘর দি”িছ দিবো বলে প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও এর কোন সমাধান হয়নি। টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে নানাভাবে টালবাহনা করছে। নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

গ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা গ্রামে বৈঠকের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান করার চেষ্টা করেছিলাম। কিš‘ রাসেল ও তার বাবা বৈঠকে উপস্থিত না হওয়ায় সমাধান করা যায়নি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রাসেল ভূক্তভোগীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নাছিমার ছেলে নয়নের সাথে আমার দ্বন্দ্বের জেরে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ করেছে। তাছাড়া আমিতো মেম্বারও নয়, চেয়ারম্যানও নই, আমি কেন টাকা নিতে যাবো। অভিযোগ ভূয়া বলে দাবি করেছেন তিনি।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মামুন বলেন, ঘর দেয়ার নামে টাকা নেয়ার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরপি/ এসআই-৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top