রাজশাহী শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৭ই বৈশাখ ১৪৩২


পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হচ্ছে প্রশাসন : উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার


প্রকাশিত:
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৩:৩১

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৫৭

ছবি: প্রতিনিধি

রাজনৈতিক নেতাদের কারণে পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হচ্ছে প্রশাসন। পরিবেশদূষণকারী ইটভাটা ও চালকলগুলোর বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে সেগুলো আবারও একই পথে চলছে।
দুদিনের সফরে শুক্রবার সকালে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

উপমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতি ও পরিবেশ ধ্বংসকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকার ও প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক নেতাদের কারণে এসব ভালো উদ্যোগ কাজে আসছে না।
আলোচনা সভায় হাবিবুন নাহার বলেন, বনভূমি রক্ষা, নতুন নতুন বন সৃষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করে নির্মল প্রতিবেশ গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। দূষণ রোধে শিল্পকারখানায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। পরিযায়ী পাখির অভয়াশ্রম গড়ে তুলতে সরকার সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছে বলেও জানান তিনি। এর আগে মহাদেবপুর উপজেলার মধুবন এলাকায় আত্রাই নদে পরিযায়ী পাখির অভয়াশ্রম পরিদর্শন করেন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহাদেবপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের সাংসদ ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক বন সংরক্ষক ছানাউল্যা পাটওয়ারী, পরিবেশবাদী সংগঠন বিবিসিএফ এর প্রতিষ্ঠাতা ও আঞ্চলিক বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিম, বিবিসিএফ এর সভাপতি ড. এসএম ইকবাল, উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবিব ভোদন, ইউএনও মিজানুর রহমান মিলন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা খাতুন, কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায়, স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন প্রাণ ও প্রকৃতি’র সভাপতি কাজি নাজমুল হক প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আত্রাই নদীর মধুবন ও কুঞ্জবনসহ কয়েকটি এলাকার প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে ২০১২ সাল থেকে শীতকালে অল্পসংখ্যক পরিযায়ী পাখি আসতে থাকে। মানুষের মাঝে সচেতনতা না থাকায় কিছু মানুষ প্রথম বছর বিভিন্নভাবে পাখি শিকারের চেষ্টা করে। কিন্তু ২০১৩ সালে আবারও পাখিরা আসতে শুরু করলে ‘প্রাণ ও প্রকৃতি’র সভাপতি কাজি নাজমুল হকসহ স্থানীয় কিছু প্রকৃতি প্রেমী যুবক স্বেচ্ছাশ্রমে পাখিদের জন্য বাঁশ, কচুরিপানা, গাছের ডালপালা দিয়ে অভয়াশ্রম গড়ে তোলেন। প্রতি শীতে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এখানে আশ্রয় নেয়।

আরপি/ এআর


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top