রাজশাহী বুধবার, ৮ই মে ২০২৪, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১


নওগাঁয় 

কৃষকরাই এদেশের প্রাণ, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে : খাদ্যমন্ত্রী


প্রকাশিত:
২৬ নভেম্বর ২০২০ ০৩:১৮

আপডেট:
৮ মে ২০২৪ ০৯:০৫

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের খাদ্য কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়সভায় খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন- কৃষকরাই এদেশের প্রাণ। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। এই কথা বিবেচনা করেই বর্তমান সরকার কৃষকদের উৎপাদিত ধানসহ বিভিন্ন ফসলের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত আওয়ামীলীগ সরকার কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন ফসলভিত্তিক নগদ টাকা, বীজ, সার ও কৃষি সামগ্রী প্রণোদনা হিসেবে বিতরণ করে কৃষকদের উৎসাহিত করছে। কাজেই এ দেশের কৃষখরা এখন ভালো আছেন।

বুধবার বিকেল ৪টা থেকে নওগাঁয় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আমন সংগ্রহ ২০২০-২০২১ উপলক্ষে খাদ্য বিভাগীয় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এ কখা বলেন মন্ত্রী।

নওগাঁ’র জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন-অর-রশিদ-এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ মত বিনিময়সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছা. নাজমানারা খানুম এবং খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক সারওয়ার মাহমুদ। মতবিনিময়সভায় নওগাঁ’র পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া, রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তা রায়হানুল কবির, রংপুর বিভাগের বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম, জেলা চাল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সভায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দু’টি কারণে সরকার মূলত খাদ্যশস্য ক্রয় করে মজুদ করে। প্রথমত কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের নায্যমুল্য নিশ্চিত করতে এবং দ্বিতীয়ত দেশের অপদকালীন সময়ে সাধারণ মানুষদের স্বল্প মুল্যে এবং বিনামুল্যে বিতরণ করে সংকট মোকাবেলার জন্য। সরকার মিল মালিকদের নানাভাবে সহযোগিতা প্রদান করে তাদের মিল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখে। এখন মিল মালিকদেরও উচিত খাদ্যশস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করা। খাদ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে সরকার মিলমালিকদের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে তা সঠিকভাবে পুরণ করে সরকারের এই উদ্যোগকে সফল করতে আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী দেশে চলমান পরিস্থিতি বাখ্যা করে বলেন- করোনা পরিস্থিতিতেও দেশে খাদ্য উৎপাদন সামান্যতমও কমেনি। এমনকি সরকারী বিশেষ ব্যবস্থায় এক জেলা থেকে অন্য জেলায় শ্রমিক পাঠিয়ে কৃষকদের ধান কাটা মাড়াইয়ের ব্যবস্থা করেছে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন অবৈধভাবে যারা ধান কিনে গুদামজাত করে রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী করবে তারা অপরাধী। সরকার এই কৃত্রিম সংকট বরদাস্ত করবে না। সরকার তাদের কঠোরভাবে দমন করবে।
তিনি আরও বলেছেন- কোন কোন মিলার বিভিন্ন অকার্যকর প্রতিশ্রুতি দিয়ে নানাভাবে সরকারকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল করে থাকেন। মিলারদের এই অপকৌশল থেকে বেরিয়ে আসতে অনুরোধ করেন। বাজারে চালের চাহিদার থেকে মিল বেশী হওয়ায় অনেকে ধান ক্রয় করে মজুদ করে রাখে আবার অনেক মিলাররা অধিক লাভের আশায় বেশী ধান ক্রয় করে মজুদ করে থাকেন। এ থেকে বেরিয়ে এসে সরকারকে সহযোগিতা না করলে সরকারও কঠোর হতে বাধ্য থাকবে।

মতবিনিময়সভায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তা, সকল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, বিভিন্ন জেলার চাউল কল মালিক গ্রুপের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ীবৃন্দ এবং স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।

 

 

আরপি/এসকে

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top