রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


ধামইরহাটে সবজির বাজারে আগুন, টানাপোড়েনে নিম্নবিত্তরা


প্রকাশিত:
১১ অক্টোবর ২০২০ ০৪:৪৫

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:১৬

নওগাঁর ধামইরহাটে শুধু শাকসবজিতেই নয় নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যে লেগেছে আগুন। করোনাকালে ঊর্ধ্বমুখী সবজির বাজারে প্রান্তিক কিংবা খেটে খাওয়া সকল মানুষের বুকে জ্বলছে আগুন-পুড়ছে হাত। উপজেলায় কয়েকটি সবজি দোকানে ঘুরে ক্রেতাদের মাঝে দেখা গেছে একরকম অস্থিরতা। প্রতিনিয়ত নিত্যপণ্যের বাজারের এমন ঊর্ধ্বমুখীতে সংসার চালাতে রিতিমত হিমসিম খেতে হচ্ছে স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষের।

বেগুন ৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭০ টাকা, পোটল ৩০-৬০, করোলা ৫০-৮০, কাঁচামরিচ ১২০-২০০ টাকা, পিঁয়াজ দেশি ৩০-৮০, শুকনা মরিচ ১৮০-২৫০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ১০-২০, আলু ১৭-৪৫, ডিম ৩০-৩৪, কচুরবই ৩৫ থেকে বেড়ে ৪৫ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। প্রকারভেদে চালের বাজারেও রয়েছে অস্থিরতা।

স্থানীয় সবজি ব্যবসায়ী মোসলেম ও রায়হানের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এবার বন্যায় অনেক সবজি বাগান নষ্ট হয়েছে। আমরা কিনছি বেশি দামে তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

সকালে সবজি কিনতে আসা সাইদুর রহমান বলেন, গিন্নির বাজার করতে এসে দেখি সবজির যে দাম, পকেটে হাত ঢোকাতেই পারছি না। এভাবে আর কতদিন চলবে।

প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিং ব্যাবস্থা না থাকায় কিছু অসাধু দোকানীদের কারসাজিতে বাজারে লেগেছে আগুন। এখনই প্রশাসনের সময়োচিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ক্রেতা সাধারণ।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ছিব্বির আহমেদ বলেন, সবজির ব্যাপারে সরকারিভাবে আমাদের কাছে কোন নির্দেশনা নেই। স্থানীয়ভাবে নির্দেশনা দিতে হলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও স্যার বসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গণপতি রায়ের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা চেয়ারম্যান আজাহার আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এবার অতিবর্ষণে বন্যার কারণে সবজির দাম বেড়েছে। দোকানীরা দাম যেন বেশি না ধরে তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top