রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


হাসপাতালে রশিদ ছাড়া টাকা আদায়, সেবা প্রত্যাশীর লিখিত অভিযোগ


প্রকাশিত:
২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:২৫

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:১৬

ফাইল ছবি

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক সেবা প্রত্যাশীর কাছ থেকে ইসিজি ও ডায়াবেটিস পরীক্ষায় রশিদ ছাড়া টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে আউটসোর্সিং-এ কর্মরত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ বিষয়ে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এনামুল হক লিটন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শহরের চকপ্রাণ মহল্লার বাসিন্দা লিলিফা রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ছেলে এনামুল হক লিটন মাকে সঙ্গে নিয়ে জেনারেল হাসপাতালে আসেন। এসময় জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাজিয়া তাসনিম লিলিফা বেগমকে দেখার পর তার টিকিটে ইসিজি ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা লিখে দেন।

তাৎক্ষণিক জরুরী বিভাগে প্রবেশপথের সামনে থাকা ইসিজি কক্ষে গেলে সেখানে কক্ষটি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। প্রায় ২০ মিনিট অপেক্ষার পর ইতি নামে একজন নারী এসে কক্ষটি খুলে লিলিফার ইসিজি এবং ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে ১৭০ টাকা নগদ গ্রহণ করেন। এরপর লিটন সেই টাকার রশিদ চাইলেও দায়িত্বরত আউটসোর্সিং কর্মচারী রিয়াজুল তাকে রশিদ দিতে অস্বীকৃতি জানান।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে মাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যান লিটন। এরপর মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রশিদ ছাড়া টাকা নেওয়া দুই আউটসোর্সিং কর্মচারীর বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

ভুক্তভোগী এনামুল হক লিটন বলেন, ইসিজি ও ডায়াবেটিক পরীক্ষা করার পর টাকার রশিদ চাইলে আমাকে কোনো রশিদ দেয়া হয়নি। সেখানে দায়িত্বরত আউটসোর্সিং কর্মচারীরা সাফ জানিয়েছেন এসব টেস্টের রশিদ হয় না। তারা তত্ত্বাবধায়কের কাছে থেকে রশিদ নিতে বলেন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত আরএমওকে জানানোর জন্য কল করেছিলাম। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

‘হাসপাতালের রাষ্ট্রীয় কোষাগারে এসব টেস্টের টাকা না গিয়ে কোথায় যাচ্ছে সেটি খতিয়ে দেখে এই দুইজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা’ গ্রহণের দাবিও জানান তিনি।

ইসিজি কক্ষে দায়িত্বরত আউটসোর্সিং কর্মচারী রিয়াজুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ইসিজি পরীক্ষার রশিদ আমার কাছে থাকে। ওই মুহুর্তে একজনকে ইসিজি করার পর ইতি রশিদ দিতে পারেনি। তবে পরে তাকে এসে রশিদ সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল।

জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবু আনছার আলী বলেন, রশিদের মাধ্যমে নির্দিষ্ট টাকা দিয়েই সকল পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। ইসিজি ও ডায়াবেটিস পরীক্ষায় রশিদ ছাড়া টাকা আদায়ের অভিযোগ আমার জানা নেই। যদি তত্ত্বাবধায়ক স্যারের কাছে অভিযোগ আসে, তবে তিনি অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

বিষয়টি নিয়ে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরীর ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি তার অফিস কক্ষে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

 

আরপি/এসআর-০৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top