রাজশাহী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করার অভিযোগ


প্রকাশিত:
৩০ জুলাই ২০২২ ০৩:৩৭

আপডেট:
৩০ জুলাই ২০২২ ০৪:১০

ফাইল ছবি

শিক্ষা নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে স্কুল শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন, নওগাঁ পত্নীতলা উপজেলার গগনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: বকুল হোসেন ও একই প্রতিষ্ঠানের সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক চয়ন উদ্দীন।

অথচ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২ এর (অনচ্ছেদ ৩১) বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষক তার প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট বা কোচিং করান শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী অপরাধ। এমন প্রমাণ কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাওয়া গেলে সেই শিক্ষক শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী অপরাধী এমন কথা বলা হয়েছে।

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক গগনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, অন্য শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়তাম যারা আমাদের স্কুলের শিক্ষক নয়। অন্য শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়ার জন্য শিক্ষক আমাদের পরিক্ষার খাতায় কম নাম্বার দেন। ফলে আমরা বকুল স্যার ও চয়ন স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য হয়েছি।

অভিভাবকরা জানান, সময়টা খারাপ। সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক কিভাবে ইংরেজী ও গণিত বিষয়ে প্রাইভেট পড়ান? আমাদে কিছু করার থাকে না। ছেলে-মেয়েরা কম নাম্বার পাবার ভয়ে অন্য শিক্ষকেজর কাছে পরতে চায় না। তাই তাদের কাছে প্রাইভেট দিয়ে রেখেছি।

শিক্ষক মো: বকুল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি জানি স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে প্রাইভেট পড়ানো শিক্ষা নীতির বাহিরে। এলাকা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বলে পড়াই। যদি প্রশাসন চাপ দেয় তাহলে প্রাইভেট বন্ধ করে দিবো।

অভিযুক্ত শিক্ষক চয়ন উদ্দীন জানান, শিক্ষার্থীরা আমার কাছে পড়তে চাই বলেই আমি তাদের প্রাইভেট পড়াই। তবে কাউকে কম আবার কাউকে বেশি নাম্বার দেওয়ার বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি তার।

এ বিষয়ে গগনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমার জানা মতে তারা আগে প্রাইভেট পড়াতো এখন পড়ায় না। তাছাড়া কোনো শিক্ষক তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোর নিয়ম নেই। বিষয়টি আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুসহাক আলীকে মুঠোফোনে না পাওয়ায় একাডেমি সুপার ভাইজার মোরশেদুল আলমের সাথে এ বিষয়ে কথা হয়। তিনি জানান, কোন শিক্ষক তার প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট বা কোচিং করাতে পারবেনা। যদি এমন প্রমাণ কোন শিক্ষক এর বিরুদ্ধে পাওয়া যায় তাহলে সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

 

আরপি/এসএইচ-০১



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top