রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১


অবহেলিত ধামইরহাটের পর্যটন শিল্প


প্রকাশিত:
২৫ আগস্ট ২০২১ ২২:০২

আপডেট:
২৫ আগস্ট ২০২১ ২২:০৩

ছবি: ঐতিহাসিক আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান

নওগাঁ জেলার সর্ব উত্তরের একটি সীমান্তবর্তী উপজেলা হিসেবে পরিচিত ধামইরহাট উপজেলা। যার আয়তন ৩০০.৮০বর্গ কিলোমিটার। এর উত্তরে অবস্থিত পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাট থানা, পূর্বে জয়পুরহাট জেলা, দক্ষিণ ও পশ্চিমে বদলগাছী এবং পত্নীতলা উপজেলা অবস্থিত।

এই উপজেলায় বসবাসকৃত বেশিরভাগ মানুষই কৃষি অর্থনীতির উপরে নির্ভরশীল। যার ফলে মিঠা পানিতে মৎস উৎপাদন, ধান, গম ইত্যাদি রবি শস্যের পাশাপাশি কৃষি যন্ত্রাংশ তৈরি, সামাজিক বনায়নের দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে রয়েছে পর্যটন শিল্পে। ফলে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব আদায়ের দিক থেকে।

ঐতিহাসিক আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান, জগদ্দল মহাবিহার, ভীমের পান্টি, মাহী সন্তোষ মাজার, গণকবর, মীর বাড়ি, আগ্রাদ্বিগুন ধাপ, আত্রাই শিমুলতলী ব্রিজসহ রয়েছে নানান উল্লেখযোগ্য স্থান। যার মধ্যে উন্নতম হচ্ছে আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান।

উপজেলার মূলফটক থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটারের পথ হচ্ছে আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান। প্রায় ২৬৪.১২ হেক্টর সুবিশাল বনভূমির মাঝখানে ৪৩ একর আয়তন নিয়ে অবস্থিত এই আলতাদিঘী। ২০১১ সালে পবম-বন-শা-২-৪৮-২০১০-৩৭৮ নম্বর তালিকা প্রঞ্জাপনমূলে ‘আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান’ ঘোষণা করা হয়। জাতীয় উদ্যান ঘোষণার এক দশক পেরিয়ে গেলেও তেমন কোন উন্নয়নমূলক অবকাঠামো এখনো গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে বন ও দিঘীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভ্রমণ পিপাসুরা ভীড় করে থাকেন। দ্রুত এই দিঘীকে সংস্কার ও পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে এটিই হবে অন্যান্য পর্যটনগুলোর মতন একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। যার ফলে বাড়বে রাজস্ব খাত।

এবিষয়ে ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানকে একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে চলতি বছরে কিছু কাজ শুরু করা হবে। প্রকল্প অনুযায়ী পরের বছর থেকে দিঘী খনন কাজসহ বড় পরিসরে কাজ শুরু হবেও বলে জানান তিনি।

 

 

আরপি/এসআর-১৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top