রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


নওগাঁয় সীমান্তবর্তী হাট-বাজার বন্ধ ঘোষণা, চলাচলে বিধিনিষেধ


প্রকাশিত:
৩ জুন ২০২১ ০৩:৫৩

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫:৪১

ছবি: প্রতিনিধি

নওগাঁ জেলায় বর্তমান করোনা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছে। সেই সাথে জেলার সাপাহার ও পেরশা সীমান্তবর্তী উপজেলার সকল হাটবাজার ও স্থায়ী দোকান, মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়াহাটসহ নওগাঁ জেলার সাথে রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন সকল হাটবাজার বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।আগামীকাল থেকে ৯ জুন ২০২১ পর্যন্ত সাত দিনের জন্য এই বিধিনিষেধ জারী করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন-অর-রশীদ বুধবার বেলা আড়াইটায় তাঁর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্র্সে কনফারেন্সে এই ঘোষনা প্রদান করেন। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের ৩০-০৫-২০২১ তারিখের ০৪.০০.০০০০.৫১৪.০০৩.২০.১৫৭ নম্বর পত্রের প্রেক্ষিেেত তিনি এই কঠোর বিধিনিষেধ জারী করেন। এ পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মান্নান মিয়া ও সিবিল সার্জন ডাঃ এ বি এম আবু হানিফ উপস্থিত ছিলেন।

কঠোর এই লকডাউনের আওতায় নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় সকল প্রকার গণ পরিবহন, শপিংমলসহ অন্যান্য দোকানপাট, গরুছাগলের হাটসমূহ, খাবারের দোকান, হোটেল রেঁস্তোরা এবং সকল এনজিও বনধ থাকবে। তবে সকাল ৭টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে উন্মুক্তস্থানে কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় বিক্রয় করা যাবে। ঔষধের দোকান খোলা থাকবে।

এ ছাড়াও সরকারি অফিস ও ব্যাংক সমূহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের অন্যান্য নির্দেশনার আলোকে শুধুমাত্র জরুরী কাজে সীমিত লোকবল নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করতে হবে। এই বিধিনিষেধের আওতাধীন এলাকায় সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতি প্রয়োজন ব্যতিত কোনভাবেই কেহ বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবেনা।

এই নির্দেশনার আওতায় আমের আড়ৎ বা বাজার পৃথক জায়গায় ছড়িয়ে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। সরাসরি বাগান থেকে ট্রাকে করে এবং কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আম পরিবহন চালু থাকবে।

নওগাঁ জেলা সদর থেকে আন্তঃজেলা এবং জেলা সদর থেকে  উপজেলা পর্যায়ে নকলপ্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে রোগি পরিবহনকারী এ্যামবুলেন্স, জরুরী পণ্য পরিবহন এবং জরুরী সেবা-পরিসেবা ও জরুরী সরকারী গাড়ির ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করে জুম্মার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্ত নামাজে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবেন। নির্দেশনা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারী প্রদান করা হয়েছে।

আরপি/ এসআই



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top